লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল গড়িয়ে রাত, ভ্যাকসিন চাইতেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল পুলিশ!

Corona Vaccine: করোনা ভ্যাকসিন (Coroan Vaccine) দেওয়া হবে বলে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন দিয়ে এসেছিলেন। সেই কুপন হাতে নিয়ে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে। কিন্তু লাইন যেন আর এগোয় না। হঠাৎ করে তাঁরা শুনলেন এই কুপনে হবে না! ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। হাসপাতালের সামনে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল গড়িয়ে রাত, ভ্যাকসিন চাইতেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল পুলিশ!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 11:33 PM

আরামবাগ: করোনা ভ্যাকসিন (Coroan Vaccine) দেওয়া হবে বলে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন দিয়ে এসেছিলেন। সেই কুপন হাতে নিয়ে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে। কিন্তু লাইন যেন আর এগোয় না। হঠাৎ করে তাঁরা শুনলেন এই কুপনে হবে না! ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। হাসপাতালের সামনে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।  এদিকে পুলিশ এসে হাসপাতাল চত্বর থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হল তাঁদের। চরম হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন কয়েকশো মানুষ। বুধবার ঘটনাটি হুগলির গোঘাটের কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

এদিন সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইনও দীর্ঘ হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই। সন্ধ্যার পরও ভ্যাকসিন না পেয়ে হাসরপাতালের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে ভ্যাকসিনের দাবি করতেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, কুপন হাতে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজনের দাবি, আশাকর্মীর দেওয়া কুপন নিয়েই ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধ্যার পর হাসপাতাল থেকে হঠাৎই ঘোষণা করা হয়, এই কুপনে আর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এদিকে খবর যায় গোঘাট থানায়। পুলিশ এসে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কার্যত লাঠি উঁচিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে তাঁদের বের করে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।

ভ্যাকসিন নিতে আসা এক প্রৌঢ়ের কথায়, “আশাদিদিরা কুপন দিয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে হঠা লাল কুপন দিচ্ছে। বলছে সাদা কুপনে হবে না। তাহলে আশা কর্মীরা কুপন দিলেন কেন? আর আমরা এতক্ষণ দাঁড় করানো হল কেন?” এদিকে লাল কুপন হাসপাতাল থেকে নেওয়ার জন্য ফের লাইনে দাঁড় করানো হয়। তার পরই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে সবার। ভ্যাকসিন নিতে এসে পুলিশের তাড়া খেয়ে বাড়ি গেলেন অনেকে। চরম হয়রানির শিকার হলেন কয়েকশো মানুষ। যদিও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এদিন একই রকম ছবি ধরা পড়ে গোঘাটেের বালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবশ্য অভিযোগ ভিন্ন। ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন নেওয়ার কুপনই পাননি অনেকে। ক্ষুব্দ হন মানুষজন। বেলা বাড়তেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান ভ্যাকসিন নিতে আসা গ্রামবাসীরা। মহিলারা রাত থেকে এসে রাস্তার ওপর শুয়েছিলেন টিকার জন্য। দুপুর পর্যন্ত ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করেও অনেকে কুপন পাননি। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় বহু মানুষজনকে। আঙুল ওঠে প্রশাসনের দিকে। আরও পড়ুন: গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার, অনাস্থার আগেই পদত্যাগ করে অফিস ছাড়লেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান