Goghat: পাট্টা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই জমিতেই ফসল লুঠের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Patta: গত বছর ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে ১৪ জন গরিব মানুষের হাতে পাট্টা তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Goghat: পাট্টা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই জমিতেই ফসল লুঠের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এই জমির ফসলের দখল নিয়েই উঠছে অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 10:56 AM

গোঘাট: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান থেকে জমির পাট্টা তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাট্টা পেয়ে সেই জমিতে চাষও করেছিলেন। কিন্তু সেই চাষের আলু লুঠ করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার খবর পেয়ে টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিল ওই গ্রামে। যদিও টিভি৯ বাংলার ক্যামেরা দেখেই চম্পট দেন আলু লুঠকারীরা। টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধির সঙ্গে কোনও কথা বলতেও রাজি হননি তাঁরা। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার গোঘাটের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের ১৪ জন গরিব মানুষের হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছিল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে। গত বছর নভেম্বর মাসে সেই পাট্টা তুলে দেওয়া হয়। পাট্টা থাকলেও জমিতে চাষ করে ফসল তাঁরা ঘরে তুলতে পারেননি বলে অভিযোগ।

গোঘাটের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামের সংশ্লিষ্ট মৌজায় ১৪ জন গরিব মানুষকে পাত্তা দেয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। গত বছর ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে ১৪ জন গরিব মানুষের হাতে পাট্টা তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাট্টা পেয়ে জমিতে আলু চাষ করেছিলেন পাট্টা প্রাপক উত্তম বাউরি, সুশান্ত পাঁজা, কানাই বাগ, অরুন বেরারা। তাঁদের অভিযোগ, জমি থেকে আলু তুলতে দেয়নি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামী স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, নিজেদের দখল রাখার জন্য আলু তুলে বাদাম লাগিয়েও দিয়েছে অভিযুক্তরা। ওই পাট্টা প্রাপকরাও তৃণমূল করেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুরাহার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাঁরা।

এ নিয়ে বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাট্টা দিয়েছেন। ওনাকে আমাদের নিচুতলা থেকে যে সুপারিশ করে পাঠানো হয় তার ভিত্তিতেই উনি পাট্টা দেন। আমার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে এই কাজ করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বাউরি উনার নামে পাট্টা নিয়েছেন। নিজেই সই করছেন। কেন? ভুল বুঝিয়ে অন্ধকারে রেখে পাট্টাটা দেওয়া হয়েছে।” তবে তিনি দুপক্ষকেই ডেকেই সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গোঘাট ১ নম্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিজয় রায় বলেছেন, “বিষয়টি মুখে শুনে খুবই মর্মাহত। এটা আমার আগে দেখে নেওয়া দরকার ছিল। যেহেতু আমি এখনও গ্রাম লেভেল থেকে কোনও খবর পাইনি, আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়েই যাতে এই বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী যাদের সম্মান দিয়েছেন অর্থাৎ যারা পাট্টা পেয়েছেন তাঁরা যাতে জমিটা দখল পায় সেই বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নেব।”

যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী রাজনৈতিক দল। গোঘাটের বিজেপির ৪৪ নম্বর মন্ডল সভাপতি দোলন দাস বলেন, “পাট্টা দখল করে নীচুতলার তৃণমূল কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকেই মান্যতাই দিচ্ছেন না।” বিষয়টি টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেও দাবি করেছেন তিনি। সিপিএমের হুগলী জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য ভাস্কর রায় বলেছেন, “ওদের তো মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো উচিত। আপনি যে পাট্টা দিলেন আর আপনার দলের লোকই দখল করে নিচ্ছে। যে দিকে যাচ্ছে, এ বার মুখ্যমন্ত্রীকেই মানবে না ওদের দলের লোকেরা।”