Tarakeswar: ‘ভোলে বাবা-ই পার করবে’, ক্রাচ-হুইলচেয়ারেই তারকেশ্বরে এলেন দুই ভক্ত

Tarakeswar: শ্রাবণ মাস মানেই বাবার মাস। মাসজুড়ে ভক্তের ভিড় উপচে পড়ে এখানে। গোটা রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন। আর পাঁচজনের মতোই শ্রাবণে তারকেশ্বরে পুজো দেওয়ার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল কুশল ও প্রীতমের। দু'জনেরই পায়ের সমস্যা।

Tarakeswar: 'ভোলে বাবা-ই পার করবে', ক্রাচ-হুইলচেয়ারেই তারকেশ্বরে এলেন দুই ভক্ত
তারকেশ্বরে দুই ভক্ত।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2024 | 8:34 PM

হুগলি: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ঠিকই। তবে সেসবকে উপেক্ষা করেই ভোলেবাবার চরণে দুই যুবক। হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে হুইলচেয়ারে শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে এসেছেন তাঁরা। শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই হাজির হয়েছেন কুশল মণ্ডল ও প্রীতম মিদ্যা।

শ্রাবণ মাস মানেই বাবার মাস। মাসজুড়ে ভক্তের ভিড় উপচে পড়ে এখানে। গোটা রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন। আর পাঁচজনের মতোই শ্রাবণে তারকেশ্বরে পুজো দেওয়ার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল কুশল ও প্রীতমের। দু’জনেরই পায়ের সমস্যা। একজন হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। অন্যজনের সঙ্গী ট্রাইসাইকেল, কখনও ক্রাচ। তাতে ভর করেই পুজো দিয়ে গেলেন তারকেশ্বরে।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় কুশল মণ্ডলের বাড়ি। গৃহ শিক্ষক তিনি। হাওড়ার ডোমজুড়ের দফরপুর বেলেপাড়ায় থাকেন প্রীতম মিদ্যা। তিনি আবার হুইল চেয়ার খেলোয়াড়। মনের জোরেই তাঁরা শেওড়াফুলি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গাজল নিয়ে ৪০ কিমি হুইলচেয়ার চালিয়ে শুক্রবার সকালে তারকেশ্বর মন্দির এসে পৌঁছন। জল ঢালেন শিবলিঙ্গে।

কুশল মণ্ডল বলেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর এলাম আমি। শেওড়াফুলি ঘাট থেকে জল নিয়ে এলাম বাবার কাছে। বাবাকে বলেছি, আমরা যেন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি। আর আমাদের মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা এভাবে বাড়ির বাইরে বেরোনোর হয়ত সাহস পান না। আমরা চাই তাঁরা আমাদের দেখে অনুপ্রাণিত হোন।” কুশলের দ্বিতীয়বার হলেও বন্ধু প্রীতম এই প্রথমবারই এলেন। প্রায় ৩৭ কিলোমিটার পথ এসেছেন ট্রাই সাইকেলে। দারুণ খুশি তিনিও।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)