Buddhadeb Bhattacharjee: আন্দোলনের জেরে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছিল টাটা, সিঙ্গুরের সেই কৃষকরা বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে কী বলছেন?

Singur Protest: শিল্পায়নের অভিমুখে রাজ্যকে আনতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর এক লক্ষ টাকার গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর জমি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে টাটা গোষ্ঠী।

Buddhadeb Bhattacharjee: আন্দোলনের জেরে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছিল টাটা, সিঙ্গুরের সেই কৃষকরা বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে কী বলছেন?
সিঙ্গুরের ছবিটা বদলে দিতে চেয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2024 | 3:35 PM

সিঙ্গুর: বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি, রাজ্যে শিল্প কারখানা নিয়ে অনেক-অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই স্বপ্ন চুড়মার হয়েছে। বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম দুটি পর্যায়। আর সেই সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলন ভিত নাড়িয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাম সরকারের। সেখানে গাড়ির কারখানা করতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কৃষক আন্দোলনের জেরে তা সম্ভব হয়নি। আজ সেখানকার কৃষকরা কী বলছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে?

শিল্পায়নের অভিমুখে রাজ্যকে আনতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর এক লক্ষ টাকার গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর জমি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে টাটা গোষ্ঠী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধীদের এই বিক্ষোভের মুখে পড়তেই রতন টাটা সিঙ্গুর থেকে প্রকল্প গুটিয়ে নেন।

তৎকালীন সময়ে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এক কৃষক বলেন, “ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ২০০৬ সালের শিল্পনীতি ভাল ছিল। ওঁকে এখানকার স্থানীয় নেতৃত্ব মিস গাইড করেছে। কারণ জমি অধিগ্রহণ করার জন্য কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল। তিন ফসলী জমি ছেড়ে যদি একফসলী বা দ্বিফসলী জমির উপর শিল্প করতেন তাহলে শিল্প ও কৃষি বাঁচত।” তিনি বলেন, “আমরা শিল্প চেয়েছিলাম। কৃষিও চেয়েছিলাম। তবে শিল্প হলে কৃষকদের খুব বেশি উপকার হত না। আর জমি চলে গেলে আমরা খেতামই বা কীভাবে?”