BJP Worker: বিজেপি কর্মীর পিঠে কালশিটের দাগ, বেধড়ক মারধরের অভিযোগে থানা ঘেরাও

Arambag: ধরনায় বসেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। অন্যদিকে আহত বিজেপি কর্মী আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।

BJP Worker: বিজেপি কর্মীর পিঠে কালশিটের দাগ, বেধড়ক মারধরের অভিযোগে থানা ঘেরাও
বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 9:18 PM

হুগলি: বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির আরামবাগে। রবিবার সকালের এই ঘটনা ঘিরে এদিন সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরামবাগ থানা চত্বর। সকালের ঘটনার প্রতিবাদে আরামবাগ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা কর্মীরা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। ধরনায় বসেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। অন্যদিকে আহত বিজেপি কর্মী আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আহত ওই বিজেপি কর্মীর নাম শুভেন্দু নন্দী। আরামবাগের গৌরহাটি-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রবিবার আরামবাগের কাপসিট মোড় এলাকায় তাদের একটি সভা ছিল। পথের ধারে সেই সভার জন্য সকালে মঞ্চ বাঁধার কাজ করছিলেন বিজেপির লোকজন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের হুমকি দেয়।

আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পথসভায় আসতে বাঁধা দেওয়াও হয়। তাঁর দাবি, বিজেপি কর্মী শুভেন্দু নন্দী আরামবাগ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কাপশিট মোড়ে তাঁর বাইক আটকানো হয় এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি পলাশ রায় বলেন, “শুনেছি বিজেপি একটা কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওদের লোকজন গিয়ে দেখে, একটা মানুষ নেই। সব ফাঁকা। কাপশিট থেকে বেশ কিছুটা দূরে তখন আমাদের ছেলেরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল। আমাদের ৯ অগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি চলছে। বিজেপি ছেলেরা মদ খেয়ে এসে আমাদের ছেলেদের বাজে কথা বলতে শুরু করে। বাজার এলাকায় এসব গালিগালাজ শুনে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেন। যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছে।”

যদিও আক্রান্ত শুভেন্দু নন্দী বলেন, “তৃণমূলের লোকজনই আমাকে রাস্তায় দাঁড় করায়। প্রথমেই বাঁ হাতে একটা লাঠি দিয়ে মারে। তারপর ডান হাতে সাদা রঙের পাইপ দিয়ে মারে। পিঠেও খুব মেরেছে।” বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগের দাবি, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে আমাদের মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয়। ওদের জন্য পথসভা করতেই পারিনি। এরমধ্যে সভার জন্য বিজেপির যেসব লোকজন আসছিল, তাদের রাস্তায় মারধর করে। একজনকে বেধড়ক মারে। হাসপাতালে ভর্তি ছেলেটা।”