Dankuni: শ্রেণিকক্ষ না জঙ্গল বোঝা দায়! পরিচর্যার অভাবে বন্ধ শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি
Dankuni: সালটা ২০০৬ এর ১৬ই ফেব্রুয়ারি। ডানকুনির ৭ নং ওয়ার্ডে পাৎসাইয়াট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সূচনা করেন তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডানকুনি: চারিদিকে জঙ্গল। তারমধ্যে অবস্থিত শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি। গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে শেণিকক্ষ। ভবনটির পুননির্মাণ করার দাবি এলাকাবাসীর।
সালটা ২০০৬ এর ১৬ই ফেব্রুয়ারি। ডানকুনির ৭ নং ওয়ার্ডে পাৎসাইয়াট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সূচনা করেন তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক বছর চলার পর প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দীর্ঘ সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটি। তার সঙ্গে বন্ধ পড়াশোনাও। বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র জুড়ে বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল।
যদিও অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে কিছু সময়ের জন্য অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের পড়াশোনা চললেও তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি অভিভাবকদের।
তাই অভিভাবকরা চান, নিজস্ব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই পড়াশোনা করুক এলাকার শিশুরা। একই সঙ্গে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি পুননির্মাণ করে শিশুদের পড়াশোনার উপযোগী করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গোড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক অভিভাবকের কথায়, ‘এখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ভগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারিদিকে গাছপালা। বার্ষাকালে সাপের উপদ্রব থাকে। এর মধ্যে ক্লাস করা খুবই বিপদজনক। তাই এই কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। পাশের একটি প্রাথমিক স্কুলে অস্থায়ী ভাবে ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু এতে শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা সেই কারণে চাইছি যাতে এই কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা যায়।’
এলাকার কাউন্সিলর কুসুম লস্কর স্কুলের ভগ্ন দশার কথা স্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাৎসাইয়াট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পরেই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই কেন্দ্রেটির পুননির্মাণেরও অনুমোদন মিলেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটির পুননির্মাণ করে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন কাউন্সিলর।