DYFI: পাঠ্যবই থেকে সরাতে হবে পার্থদের নাম, এবার পোস্টার পড়ল চন্দননগর পুরনিগমে
Chandannagar: পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'অষ্টম শ্রেণির বই থেকে চোরেদের নাম সরাতে হবে'। কোনও কোনও পোস্টারে আবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া স্তূপাকৃতি টাকার ছবির সঙ্গে লেখা, 'এটা আপনার সন্তানের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বিক্রির টাকা'।
হুগলি: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পরই টুইট করেছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। পাঠ্য পুস্তক থেকে শাসকদলের নেতাদের নাম সরানোর দাবি তুলেছিলেন তিনি। এবার সেই একই দাবিকে সামনে রেখে পোস্টার পড়ল চন্দননগর পুরনিগম ভবনে। অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে নেতাদের নাম হঠানোর দাবি তুলে পোস্টার সাঁটাল চন্দননগর ডিওয়াইএফআই। পুরনিগমের নোটিস বোর্ডে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরচত্বরে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘অষ্টম শ্রেণির বই থেকে চোরেদের নাম সরাতে হবে’। কোনও কোনও পোস্টারে আবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া স্তূপাকৃতি টাকার ছবির সঙ্গে লেখা, ‘এটা আপনার সন্তানের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বিক্রির টাকা’।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের যে পাঠ্য পুস্তক, সেই ‘অতীত ও ঐতিহ্য’ বইয়ের ১৬২ ও ১৬৩ পাতায় রয়েছে কৃষিজমির অধিকার: সিঙ্গুর গণআন্দোলন শীর্ষক চ্যাপ্টার। তাতেই নাম রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জমি রক্ষা আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন পার্থ। শুধু পার্থই নয়, এই অধ্যায়ে নাম রয়েছে পূর্ণেন্দু বসু, অসীমা পাত্র, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, শোভদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী, বেচারাম মান্নাদের নামও।
চন্দননগরের সিপিআইএম নেতা হীরালাল সিংহ এ প্রসঙ্গে জানান, এই পোস্টার তো সবে চন্দননগরে পড়েছে। এবার গোটা রাজ্যে পড়বে। হীরালাল বলেন, “এখন ডিওয়াইএফআই, এসএফআই পোস্টার দিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সারা রাজ্যে পোস্টার পড়বে। এদের নাম বইয়ে থাকলে এই ছেলেমেয়েগুলো কী শিখবে? একজনের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তাঁর জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, অথচ তাঁর নাম পাঠ্যপুস্তকে থাকবে? মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম, নেতাজি সুভাষ বোসের কথা না পড়ে এখন ছেলেমেয়েরা কি চোরেদের কথা পড়বে?”
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকারদের টাকা আত্মসাৎ করে এই ব্যক্তি এখন জেলে; এখন অন্তত এনার নামটা অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুছুন; তা নাহলে তো বইয়ের পাতায় নাম দেখে নতুন প্রজন্ম এই ব্যক্তি কে নেতাজী/ক্ষুদিরাম দের সমতুল্য মনে করতে শুরু করবে@MamataOfficial pic.twitter.com/0aM758KSpr
— Dr. Anupam Hazra ?? (@tweetanupam) July 31, 2022
যদিও চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “আমার কাছে খবর এসেছে, এরকম পোস্টার দেওয়া হয়েছে। একটা বিচারাধীন বিষয়, আমরাও চাইব সত্যি সামনে আসুক। কিন্তু যেটা নিয়ে বিচার হচ্ছে, সেটা নিয়ে কী কিছু বলা যেতে পারে? আসলে বিরোধীরা এখন যেটা করছে, সেটা হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা মাত্র।” এর আগে অনুপম হাজরা টুইটে লিখেছিলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকারদের টাকা আত্মসাৎ করে এই ব্যক্তি এখন জেলে; এখন অন্তত এনার নামটা অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুছুন; তা নাহলে তো বইয়ের পাতায় নাম দেখে নতুন প্রজন্ম এই ব্যক্তি কে নেতাজী/ক্ষুদিরাম দের সমতুল্য মনে করতে শুরু করবে।’