Kalyan Banerjee: অনুব্রত কি গরু ঘাড়ে করে সীমান্ত পার করেছে? কল্যাণের বক্তব্যে উঠল সুদীপ-মদন প্রসঙ্গও

TMC MP Kalyan Banerjee: কল্যাণ বলেন, 'সিবিআই আর ইডির ভয় দেখিয়ে সুলতান আহমেদ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের দিনের পর দিন কেস ঝুলিয়ে রেখে বয়স্ক মানুষগুলোকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে'।

Kalyan Banerjee: অনুব্রত কি গরু ঘাড়ে করে সীমান্ত পার করেছে? কল্যাণের বক্তব্যে উঠল সুদীপ-মদন প্রসঙ্গও
তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 7:59 PM

হুগলি: ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র ভাষায় এদিন কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাউকে কাউকে আটকে রেখে দেবে। অথচ সেই মামলায় নির্দিষ্ট কোনও বিচার পাওয়া যাবে না। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্রের গ্রেফতারির কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, দিনের পর দিন আটকে রেখে দিল। অথচ আজ অবধি কিছু প্রমাণ করতে পারল না। বয়স্ক মানুষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি মানসিক নির্যাতন করে বলেও এদিন দাবি করেন কল্যাণ।

শনিবার দলের এক কর্মসূচি থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ অবধি, আট বছরে কেন জানাতে পারল না চিটফান্ডের জন্য আসল দোষী কারা? কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আটকে রেখেছেন, এর থেকে বেশি তো কিছু করতে পারেননি। ছবি তুলেছেন, ছবি ছেড়েছেন। দোষী বলে কাউকে সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত সে ক্রিমিনাল হয় না। গরু ছাগলের মতো যাদের মাথা, তারা এ কথা বলে বাইরে স্লোগান দেয়।” এই কথার রেশ ধরেই কল্যাণ বলেন, অনুব্রতকে আমি ডিফেন্ড করছি না, করবও না। দল বলেছে, অন্যায় করলে জিরো টলারেন্স।”

এরপরই রাজনৈতিক সত্ত্বাকে পাশে রেখে আইনজীবী কল্যাণ প্রশ্ন তোলেন, “আমি তো একজন আইনজীবী, প্রশ্ন তো আসবেই যে অনুব্রত বাংলাদেশের বর্ডারে কি গরু কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিল? প্রমাণ করতে পারবেন? ক’টা গরু দেখেছেন? সেটা সাদা গরু ছিল না কালো গরু ছিল? লেজটা কেমন ছিল? আমারও পড়াশোনা আছে। ইডির মুখ দেখে চলি না।” গরু পাচার মামলায় কেঁচো খুড়তে যে কেউটোর দেখাও মিলতে পারে, এদিন কল্যাণের বক্তব্যে সে ইঙ্গিতও মিলেছে। তিনি বলেন, এখন আইন রয়েছে, ঘুষ যে নিচ্ছেন এবং ঘুষ যিনি দিচ্ছেন সমান দোষী।

কল্যাণের কথায়, “ক’জন এসে বলবে ঘুষ দিয়েছে? কে বলবে বলুন? যে ঘুষ দেয় সেও আইনের প্যাঁচে পড়বে। আইন অনুযায়ী জেলে যেতে হবে। অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে ভাল কথা। কিন্তু প্রমাণ করার দায়িত্বটাও তো নিতে হবে। দিনের পর দিন এইভাবে ফেলে রাখতে পারে না। একটার পর একটা লোককে গ্রেফতার করেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে রেখেছিল, মদন মিত্রকেও গ্রেফতার করেছিল। অথচ আজ পর্যন্ত কেন প্রমাণ করতে পারল না? সিবিআই আর ইডির ভয় দেখিয়ে সুলতান আহমেদ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের দিনের পর দিন কেস ঝুলিয়ে রেখে বয়স্ক মানুষগুলোকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছে।”