West Bengal Panchayat Polls: ৫০ বিঘা জমি, বাড়িতে এসি… তৃণমূল প্রার্থীর নামে পড়ল পোস্টার
West Bengal Panchayat Polls: কাজ না করে জব কার্ডের টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। সব শেষে লেখা, 'আপনারা ভাবুন কাকে ভোট দেবেন?' নীচে লেখা 'এলাকার মানুষ'।
বিঘা বিঘা চাষের জমি, বাড়িতে এসি… কী নেই! আপনারা ভাবুন কাকে ভোটে দেবেন। এমনই সতর্কবার্তা দিয়ে পঞ্চায়েত প্রার্থীর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে চাপান-উতোরের রাজনীতি চলছে রাজ্য় জুড়ে। আর এবার নির্বাচনের আগে বিরোধীদের একটা বড় হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’। শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক যখন জেলে, তখন পঞ্চায়েত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থীর নামে রীতিমতো পোস্টার পড়েছে পান্ডুয়ায়।
হুগলি পান্ডুয়ার পাঁচগড়া তোরগ্রাম পঞ্চায়েতের নিয়াল এলাকার বেশ কিছু জায়গায় দেওয়ালে দেখা গেল সেই পোস্টার। সোমবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই পোস্টারকে কেন্দ্র করে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মহম্মদ নূরসোভা মোল্লার নামেই ওই পোস্টার। পোস্টারে লেখা, ব্লক তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা ২২ নম্বরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মহম্মদ নূরসোভা মোল্লার দোতলা বাড়ি, ৫০ বিঘা চাষ যোগ্য জমি, বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক মেশিন রয়েছে। নিজের চাষের ট্রাক্টরও রয়েছে। তা সত্ত্বে নিজের মায়ের নামে সংখ্যালঘু সেলের ঘর নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারে। এছাড়া কাজ না করে জব কার্ডের টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। সব শেষে লেখা, ‘আপনারা ভাবুন কাকে ভোট দেবেন?’ নীচে লেখা ‘এলাকার মানুষ’।
তবে এলাকার মানুষ কি সত্যিই এই পোস্টার দিয়েছে? তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ সিপিএমের দিকে। ওই প্রার্থীর ব্যাপারে সব তথ্য যে তাঁদের কাছে রয়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক। তৃণমূলের যত চোর নেতা রয়েছেন তাঁদের খাতা খুলে দেব। তাঁর দাবি, এলাকায় এমন আরও অনেক তৃণমূল নেতা রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে চাকরি চুরি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।” এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও তৃণমূল প্রার্থী নূরসোভা মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ওরা আমাকে ভয় পাচ্ছে। তাই আবোল তাবোল বলছে। প্রয়োজনে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করা হোক। সিপিএম ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব করেছে, তারা কোনও কাজ করেনি, শুধু হার্মাদ পুষেছে। এখন লড়াই করতে না পেরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।” ৫০ বিঘা জমি আছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।