‘তৃণমূলে ফেরানো যাবে না’, কোন্ননগরে প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার

হুগলি: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) পর এবার উত্তরপাড়ায় প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghosal) বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। কোন্নগরবাসীদের দাবি, “প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসে নেওয়া যাবে না।”

পোস্টার পড়েছে কোন্নগর জোরাপুকুর, রাজেশ্বরিতলা, এলপুকুর এলাকায়। দিন কয়েক আগে ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানান তৃনমূল কর্মীরা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পর থেকেই এই জল্পনা বেড়েছে। আর তখন থেকেই ক্ষুব্ধ তৃণমূলকর্মীরা। সোমবার ডোমজুড়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

প্রবীর ঘোষালকে যদিও কোনও তৃণমূল নেতার সঙ্গে প্রকাশ্যে সেভাবে দেখা যায়নি, বা তিনি করেননি। তবে কয়েকদিন আগে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর বিজেপির কোন নেতা খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বরং সেই সময় তৃনমূলের স্থানীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর খোঁজ নিয়েছেন বলে জানান প্রবীর ঘোষাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখেই। তৃণমূলের আচরণ মন ছুঁয়ে গিয়েছে, বলছিলেন বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল।

আরও পড়ুন: স্থানীয় চিনা ভাষায় লক করা হানের মোবাইল-ল্যাপটপ, শরীরে চিপও লুকিয়ে রাখতে পারে এই চিনা নাগরিক

ভোট পরবর্তী বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। এদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে অবগত। সেক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরলে, তাঁরও প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

এপ্রসঙ্গে শ্রীরামপুরে জেলা সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, “ওঁর মায়ের মৃত্যুর পরও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তখনও তো তৃণমূলে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি। এখন তী ভাবছেন জানি না। তবে ওঁর যদি তৃণমূলে ফিরতে চান, আমাদের তো এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই।”

এদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “তৃণমূলে কে থাকবে, কে থাকবেন না, কাকে কত গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা নেত্রীই সিদ্ধান্ত নেন। এব্যাপারে কিছু বলার নেই।”