মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ মাকে গামছায় বেঁধে মোটর সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে গেলেন যুবক

শত চেষ্টার পরও অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে কোভিড আক্রান্ত মাকে গামছা দিয়ে বেঁধে মোটর বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ছেলে!

মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ মাকে গামছায় বেঁধে মোটর সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে গেলেন যুবক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 10:56 PM

হুগলি: কিছুদিন আগে এই হুগলিতেই এক করোনা রোগীকে (Corona Patient) কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। গয়না বন্ধক দিয়ে সেই ভাড়া মিটিয়েছিলেন রোগীর স্ত্রী। সেই হুগলিতে ফের ‘অ্যাম্বুল্যান্স-বিভ্রাট’। শত চেষ্টার পরও অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে কোভিড আক্রান্ত মাকে গামছা দিয়ে বেঁধে মোটর বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ছেলে!

পান্ডুয়া বিধানসভার বৈঁচিগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা ধীরাজ পাল। তাঁর পরিবারের চারজন কোভিডে আক্রান্ত। শুধুমাত্র তিনি নেগেটিভ। একা অসুস্থ পরিবারের দেখাশোনা করতে গিয়ে ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ওই যুবক। তার পর এদিন অসুস্থ মায়ের জন্য কোনওভাবেই অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাঁকে মোটর বাইকে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ধীরাজ।

বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন ধীরাজের মা। শুক্রবার সকালে বৈঁচিগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে,সেখানকার চিকিৎসকরা জানান পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সেই মতো পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধাকে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি জায়গায় জানিয়েও কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়া যায়নি। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়,তারা নিয়ে যেতে পারবে না! বহু চেষ্টা করেও অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বৃদ্ধা মাকে বাইকের পিছেন বসিয়ে নিজের শরীরের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে বাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ছেলে ধীরাজ।

আরও পড়ুন: কোভিডে মৃতের দাহকাজ চলছিল, হঠাৎই চুল্লি থেকে বেরিয়ে এল আগুনের লেলিহান শিখা!

এই বিষয়ে পাণ্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ কে প্রশ্ন করলে তিনি কার্যত মেজাজ হারান। রেগে গিয়ে বলেন, এ নিয়ে বিডিওকে জানাতে। নয়া মন্ত্রীর অভিযোগ, শুধু নেগেটিভ খবরের চেষ্ঠা করছে সংবাদমাধ্যম। এদিকে পাণ্ডুয়ার পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য সঞ্জিৎ ব্যানার্জী বলেন তাঁকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল হাসপাতাল কে জানাতে, কিন্তু তাঁরা না জানিয়েই চলে এসেছে। আর নির্ধারিত কিছু অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া কোভিড রোগীদের জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই বলে জানান তিনি।