১৭০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করে দেওয়া হচ্ছিল ‘ভুয়ো’ রিপোর্ট! বড়সড় প্রতারণা চক্র ফাঁস

ফেসবুকে কোভিড টেস্ট ক্লিনিকের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন ধৃতরা।

১৭০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করে দেওয়া হচ্ছিল 'ভুয়ো' রিপোর্ট! বড়সড় প্রতারণা চক্র ফাঁস
উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: May 22, 2021 | 2:54 PM

হুগলি: দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেশি। টেস্ট কিটের অভাবে সঠিক সময়ে পরীক্ষা করাতে পারছেন না অনেকেই। এর্ মধ্যে যে ভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণ চক্র মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে আরও বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। সম্প্রতি এমনই এক প্রতারণ চক্রের হদিশ মিলল হুগলির চন্দননগরে। ধৃত দুই যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হল করোনার পরীক্ষার সরঞ্জাম। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও অর্ঘ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই দুই যুবক চন্দননগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। করোনা রিপোর্ট দেওয়ার নাম করে এরা প্রতারণা চক্র চালাত বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর থানার পুলিশ। অর্ঘ হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। তিনি বিনায়ক ডায়াগনস্টিক এবং হাওড়া স্পেসালিস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত। অন্যদিকে প্রসেনজিৎ মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। একটি টেস্ট করার জন্য ১৭০০ টাকা করে নেওয়া হত। অভিযুক্তরা ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের কোভিড টেস্ট ক্লিনিকের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন।

চন্দননগরের এক বাসিন্দা এদের কাছ থেকে টেস্ট করে প্রতারিত হন।তারপর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দননগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।গতকাল, শুক্রবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে ৫ টি পিপিই কিট, আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টের ফাঁকা ফরম্যাট, ৫০টি কোভিড টেস্টিং কিট, ব্যবহৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কন্টেনার, ৪০ টি র‍্যাপিড পরীক্ষার কিট ও ১০০ সিল করা ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ উদ্ধার করে পুলিশ।চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা। তাদের বিরুদ্ধে মোট চারটি ধারায় মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সেবাই ধর্ম, কোভিড রোগীদের স্বার্থে ১০৪ বছরের রেওয়াজ ভেঙে ভারত সেবাশ্রমে মাছ-মাংস-ডিম

অভিযোগকারিণী স্থানীয় ওই বাসিন্দা জানান, তাঁদের কোভিডের উপসর্গ থাকায় ফেসবুক থেকে ফোন নম্বর পেয়ে এদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে অন্য একটি জায়গায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।