Child Trafficking: টাকার লোভ দেখিয়ে শিশু বিক্রির অভিযোগ! উলুবেড়িয়ায় হাতুড়ে ডাক্তার সহ গ্রেফতার ৭
Uluberia: পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে উঠে এসেছে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ওই শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকার একটি অংশ পরিবারকেও দেওয়া হয়েছিল। ওই হাতুড়ে ডাক্তার নাকি পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল, সন্তান যেখানে আছে সেখানে ভালভাবেই বড় হচ্ছে।
উলুবেড়িয়া: টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু বিক্রির (Child Trafficking) অভিযোগ উঠল এক গ্রামীণ হাতুড়ে চিকিৎসকের (Quack Doctor) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার বাউরিয়া থানা এলাকার। বাউড়িয়া থানা এলাকায় বনমালী দাস নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসক টুকটাক চিকিৎসা করতেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই হাতুড়ে চিকিৎসক এলাকার অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অনেক সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে ওই এলাকারই এক ব্যক্তি তাঁর সন্তানকে হাতুড়ে চিকিৎসকের কথা মতো বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ওই শিশুর মা-ও পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে উঠে এসেছে, কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ওই শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকার একটি অংশ পরিবারকেও দেওয়া হয়েছিল। ওই হাতুড়ে ডাক্তার নাকি পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল, সন্তান যেখানে আছে সেখানে ভালভাবেই বড় হচ্ছে।
এইসব তথ্য উঠে আসতে আসতে তদন্তের গতি আরও বাড়ায় বাউড়িয়া থানার পুলিশ। যে হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে গোটা অভিযোগ, সেই বনমালী দাসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতে ওই হাতুড়ে ডাক্তারের যোগের বিষয়ে সন্দেহ আরও গভীর হয় পুলিশের। এরপর গতকাল (বৃহস্পতিবার) ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে জেরা করে আরও ৬ জনের নাম উঠে আসে পুলিশের হাতে। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় বাউড়িয়া ও ডোমজুড় থানা এলাকায় মিলিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বনমালী দাস ছাড়া বাকি ধৃতদের নাম রবি গায়েন, ফাল্গুনী গায়েন, আনন্দ আদক, রাম অবতার সিং, প্রশান্ত নস্কর ও রিতা নস্কর। অভিযুক্ত সাত জনকেই এদিন উলুবেড়িয়া আদালতে পেশ করে বাউড়িয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই হাতুড়ে ডাক্তার আগে অন্য জায়গায় থাকত। পরবর্তীতে বাউড়িয়াতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নাকি ওই হাতুড়ে ডাক্তারের সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করেছিল। বাউড়িয়াতে জায়গা-জমি কিনে একটি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছিল ওই হাতুড়ে ডাক্তার। কীভাবে তাঁর কাছে হঠাৎ করে এত সম্পত্তি এল, তা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের মনেও। গোটা বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বাউড়িয়া থানার পুলিশ।