Child Adoption Centre: হোমের আড়ালে শিশু বিক্রি! চাঞ্চল্যকর অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের ছেলে
Howrah: আগেই গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ-সহ ১০ জনকে।
করুণা ওমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এই হোমটি ২৩৪ নম্বর শ্রীরাম ঢ্যাং রোডে অবস্থিত। হাওড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হোমটি রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মিনতি অধিকারী। তিনি হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রও। হোম চালাতেন হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্র সুমিত অধিকারী ও তাঁর পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারী। দিন দশেক আগে এই হোমের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। চাইল্ড সেন্টারের আড়ালে শিশু বিক্রির চক্র চলছে বলে জানতে পারে পুলিশ। একই সঙ্গে সেখানে রাখা শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে।
তারপরই শিশুকল্যাণ দফতরের আধিকারিক ও হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা তদন্তে নামেন। গত ২০ নভেম্বর রাতেই হোমটি সিল করে দেওয়া হয়। এখান থেকে বেশ কয়েকজন শিশুকে উদ্ধারও করা হয় বলে সূত্রের খবর। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে পুলিশ মুখ না খুললেও আরও বেশ কিছু নয়া তথ্য যে এই ঘটনায় পুলিশের হাতে উঠে এসেছে, তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
হোমটির খবর পাওয়ার পরই দফায়-দফায় চলে পুলিশি হানা। সঙ্গে চলে ধড়পাকড়। প্রথমে আটক করা হয় মীনতিদেবীর পুত্রবধূকেও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিকে এই ঘটনায় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, “এই রকম ঘটনার সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকেন তবে অবশ্য়ই যথাযথ ব্যবস্থা হবে। আইন আইনের পথেই চলবে। নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।”
সমাজ কল্যাণ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও হাওড়া পুরসভা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ-সহ ধৃত মোট ১০ জনকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎই ঘটনার দিন রাতে তাঁরা দেখেন শিশু হোমের সামনে অনেক পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি প্রাইভেট গাড়িও রাখা ছিল। পুলিশের এক জন কর্তা এসে বাচ্চাগুলিকে অন্য একটি গাড়িতে তুলছিলেন। তবে ঠিক কী কারণে করছিলেন তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। এরপরই ধীরে ধীরে আসল ঘটনা সামনে আসে। ওই ব্যক্তি আরও বলেন, এই হোমটি প্রায় আট থেকে দশ বছর ধরে চলছিল।