CPIM: সাঁকরাইলে সমবায় সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বামেদের, অস্বস্তি বাড়ছে শাসক তৃণমূলের

CPIM: তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তাঁদের অন্ধকারে রেখে নির্বাচন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল।

CPIM: সাঁকরাইলে সমবায় সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বামেদের, অস্বস্তি বাড়ছে শাসক তৃণমূলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 8:15 PM

হাওড়া: বিধানসভায় মেলেনি একটিও আসন। নেই কোনও বিধায়ক। তবে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchat Election) ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বামেরা। এরইমধ্যে এবার সাঁকরাইল ব্লকে শ্যামাপ্রসন্ন কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলো বামেরা (CPIM)। বামেদের দাবি, সমবায় সমিতির ৬৪টি ডেলিগেটস আসনেই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বিশেষ করে শাসকদল তৃণমূল (Trinamool Congress) কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে ইতিমধ্যেই আবার ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। 

সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের দাবি, তৃণমূলকে অন্ধকারে রেখে, কোনও নোটিশ না দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে ওই সমবায়ে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই দলের তরফে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে জয়ের পর এদিন লাল আবির নিয়ে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায় এলাকার বাম-কর্মী সমর্থকদের। বামেদের দাবি, রাজ্য সরকারের সমবায় বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলারই প্রতিফলন তাদের এই জয়। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ জানান, ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর এই সমবায় শেষবার নির্বাচন হয়েছিল। তারপর থেকে এখানে আর কোনও নির্বাচন হয়নি। তবে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। 

সূত্রের খবর, নির্বাচনের দাবিকে সামনে রেখে সম্প্রতি হাইকোর্টে মামলা করেন সমবায়ের এক সদস্য। দিলীপবাবুর দাবি, ভোট করতে তারপরই শুরু হয়ে যায় জোরদার প্রস্তুতি। ভোটের কথা ঘোষণা হতেই বামেরা অংশ নেয়। শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে বামেরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শ্যামাপ্রসন্ন কৃষি সমবায় সমিতিতে ১৫৯৯ জন সদস্য রয়েছেন। এঁদের মধ্যে বামদের ৬৪ জন ডেলিগেটস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাঁকরাইলে বামেদের এই জয় এলাকার বাম-কর্মী সমর্থকদের মনোবল বেশ খানিকটা বাড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশ। বাম নেতা নন্দলাল মুখার্জী বলেন, “ওদের ব্যর্থতা তাই ডেলিগেট দিতে পারেনি। এই সমবায়ের যা ইতিহাস, তা মাথায় রেখেই আমরা বড় জয়ের আশা করেছিলাম।”

সমবায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “যেহেতু আমাদের হাজারের উপর ভোটার। তাই প্রথমে ডেলিগেট নির্বাচন হয়। তারপর পরিচালক নির্বাচন হয়। ডেলিগেট নির্বাচনের দিনক্ষণ অগস্ট মাসের এক তারিখ প্রকাশ হয়েছিল। মনোনয়নপত্র দেওয়া শুরু হয় ৩ তারিখ থেকে। দশ তারিখ ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। এখানে ১৫৯৯ জন সদস্যদের ভিত্তিতে ৬৪ জন ডেলিগেটস থাকেন। কিন্তু, এবারে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র তোলেন। কোনও মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই এদিন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়।” সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, “আমরা কেউ জানিনা। কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। সরকারে থেকে কেউ ভোটের কথা জানার পরেও মনোনয়ন জমা দেবে এটা হতে পারে না। পুরোটাই গোপনে করা হয়েছে।”