Howrah Municipality: কমেছে মশার দাপট, কর্মীদের ‘ডেঙ্গি সেনানি’ সম্মাননা পুরসভার
Howrah Municipality: আর সেই খুশিতে পুরসভার কর্মীদের পুরস্কার দিল হাওড়া পুরসভা। গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম এমন উদ্যোগ দাবি মুখ্য প্রশাসকের।
হাওড়া: বিগত কয়েক মাস ধরে চড়চড়িয়ে বাড়ছিল ডেঙ্গি। গোটা রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির এমন বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসনকে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ পরিস্থিতি ছিল প্রায় একইরমক। খোদ পুরসভার মেয়ররা রাস্তায় নেমে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছিলেন। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে হাওড়া জেলায় একের পর এক ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছিলেন ডেঙ্গিতে। তবে সেই পরিস্থিতি এখন অতীত। কারণ জেলায় কমেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই খুশিতে পুরসভার কর্মীদের পুরস্কার দিল হাওড়া পুরসভা। গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম এমন উদ্যোগ দাবি মুখ্য প্রশাসকের।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, বিগত এক বছরে পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা সবথেকে কম হয়েছে সেইসমস্ত ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মী ও তেল ছড়ানোর কর্মীদের মঞ্চে ডেকে পুরষ্কৃত করলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার হাওড়ার শরৎসদনে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ভাল কাজের জন্য এইসব কর্মীদের ৬টি দলকে ‘ডেঙ্গি সেনানি’ নামে পুরষ্কৃত করা হল। এই প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, “হাওড়াতে তো বটেই সম্ভবত রাজ্যের মধ্যে প্রথম হাওড়া পুরসভাতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল। আগামী দিনেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় যে সমস্ত পুর কর্মীরা ভালে কাজ করবেন তাঁদেরকেও এভাবেই পুরষ্কৃত করা হবে।”
এ দিন, মূলত তাঁদেরই পুরষ্কৃত করা হয়। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাওড়া পুরসভার ৩২, ২২ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে কম হয়েছে। তাই এদিন এই তিনটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের পুরষ্কৃত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ওই সময়ের মধ্যে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন মাত্র ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যেখানে অন্যান্য ওয়ার্ডে এক বা দু সপ্তাহেই ১৫ থেকে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ডেঙ্গি মোকাবিলায় ভালে কাজের জন্য ১০, ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা ৬ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে ‘বেস্ট ফাইটার’ হিসেবে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হাওড়া পুরসভা এলাকায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ২ হাজার ৬০১ জন। ওই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরকর্মীরা প্রাণপাত করে দেন বলে এদিন দাবি করেন মুখ্য প্রশাসক।
এ দিন মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, একদিনে একটি শহর বদলে যায় না। তার জন্য দরকার একটি দূরদর্শী পরিকল্পনা। যা বাস্তবায়ন সাফাইকর্মী স্বাস্থ্যকর্মী বা নিকাশি কর্মীর ছাড়া সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে কাজে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের এই উদ্যোগ। যাতে তারা আগামী বছর আরও ভালভাবে কাজ করতে পারেন।