Extra Marital Affair: প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিল দুই বউ, অপহরণের ‘দায়ে’ শ্রীঘরে ভরা হল দুই রাজমিস্ত্রিকে
Howrah: গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই বউ।
হাওড়া: রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বালির দুই গৃহবধূর বিরুদ্ধে। যদিও দুই গৃহবধূকেই আপাতত বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে যে দু’জন রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালানোরর অভিযোগ, এখন দু’জনেরই ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। অন্যের বাড়ির বউকে অপহরণ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
বালির আনন্দনগরের কর্মকার পরিবারের দুই গৃহবধূ ও পরিবারেরই এক শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুই রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার তাঁদের আসানসোল থেকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই যুবককে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে এদিন কর্মকার বাড়ির দুই বউকেও হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। দু’জনই আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন। তার পর পুলিশ দু’জনকে তাঁদের বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একজনের বাপের বাড়ি লিলুয়ার ভট্টনগরে। অন্যজন বেলগাছিয়ার মেয়ে। এদিন আদালতে তোলার সময় বার বার সংবাদমাধ্যম নানা প্রশ্ন করেছিল দুই তরুণীকে। তবে একটি শব্দও তাঁরা বের করেননি। এমনকী দুই গৃহবধূর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও এদিন এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি।
এদিন হাওড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী তারাগতি ঘটক জানান, ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ৩৬৩ ও ৩৬৫ ধারায় অপহরণের মামলা রুজু হয়েছে। দুই গৃহবধূকে থানার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি হাওড়া আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক গৃহবধূর সাত বছরের ছেলেকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ছেলে এখন মায়ের কাছেই থাকবে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির লোকের অনুমতি না নিয়ে সাত বছরের শিশু-সহ দুই বধূকে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যাওয়ার জন্যই অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গত ১৭ ডিসেম্বর নিশ্চিন্দা থানায় দুই বধূর শ্বশুরবাড়ির তরফে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ মামলা রুজু করেছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই বউ। সঙ্গে ছিল একজনের ছেলে। এদিকে এরপরই তাঁদের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকার পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৭ ডিসেম্বর পাঁচজন মুর্শিদাবাদ থেকে হাওড়া স্টেশনে এসে সেখান থেকে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে করে মুম্বইয়ের পথে রওনা দেন।
এদিকে সেখানে তিন দিন থাকার পর অভিযুক্ত এক যুবকের বাড়ি থেকে তাঁর পরিবারের তরফে মুর্শিদাবাদে ফিরে যেতে বলা হয়। সেইমতোই গত ২০ ডিসেম্বর মুম্বই মেলে চেপে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই মোবাইল ফোনের ট্র্যাকারে ধরা পড়ে তাঁদের গতিবিধি। বুধবার আসানসোলে নামার বিষয়টিও ফোন ট্র্যাক করেই জানতে পারে পুলিশ। সেইমতোই আসানসোল স্টেশনে উপস্থিত ছিল পুলিশ। বুধবার আসানসোল থেকে তাদের ধরে নিশ্চিন্দা থানায় নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: পুরভবনে শুক্রবারই শপথ নেবেন জনপ্রতিনিধিরা, বাদ ফিরহাদ-মালা