Fire: মোমের কারখানার বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে পড়ল বিদ্যুৎ পর্ষদের পাওয়ার হাউসেও!
Howrah: মোম তৈরির জন্য প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে তা ভয়াবহ রূপ নেয়।
হাওড়া: মোমের কারখানার গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটল সোমবার রাতে। হাওড়ার চামরাইলে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের পাওয়ার হাউসেও। দমকলের ৯টি ইঞ্জিন ও ১টি অগ্নিনির্বাপক ফোমের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরপরই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট নয়।
চামরাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি মোমের কারখানার গুদামে সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎই আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রাই প্রথম সে দৃশ্য দেখেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। এদিকে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল ওই গুদামের পাশেই থাকা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের একটি পাওয়ার হাউসেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ভয়াবহভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় আশপাশের বসতি এলাকায়। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন জাতীয় সড়কের ধারের স্থানীয় বাসিন্দারা। পাওয়ার হাউসে আগুন ছড়াতে থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় স্থানীয় চামরাইল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
দমকল আধিকারিকদের পাশাপাশি লিলুয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরাও রাস্তায় নামে। এদিকে এই আগুন লাগার ঘটনার জন্য বেশ কিছুক্ষণ লিলুয়ার জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এই অগ্নিকাণ্ডে রাত পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে দমকল আধিকারিকদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে কারখানাটিতে। মোম তৈরির জন্য প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। তাই প্রাথমিকভাবে দমকল আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরবর্তীতে আবারও আগুন ছড়াতে থাকে। আগুন নেভাতে রীতিমতো হিমশিম খান দমকল আধিকারিক ও কর্মীরা। এদিকে দমকলকে খবর দেওয়ার পরও দেরীতে আসার অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় বিডিও-সহ ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।
গত মাসেই নবান্নের কাছে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রাজ্য প্রশাসনিক কার্যালয়ের ঠিক পিছনের দিকে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। নবান্নের ঠিক পিছন দিকে অবস্থিত পূর্ত দফতরের একটি অস্থায়ী অফিসে আগুন লাগে।
দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মন্দিরতলা যাওয়ার রাস্তার নীচে জড়ো করে রাখা ছিল প্রতিমা নির্মাণের কাঠামো। সন্ধে নাগাদ সেই কাঠামোর খড়ে আগুন লাগে। প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন কাজ করলেও পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগায়। দমকলের চারটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। অফিসের মিটার বক্সের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগার ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল দমকল।
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের আচরণ ‘নৃশংস’, ‘অভব্য’; নিন্দায় সরব আইএসএফ