Fire Brokeout: দাউদাউ করে জ্বলছে কারখানা, শনিবারের বারবেলায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড হাওড়ায়
Howrah: দমকল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎই আগুন লেগে যায় কারখানার গুদামে।
হাওড়া: সপ্তাহান্তের দুপুরে শেষবেলার কাজ সারছিলেন কারখানার শ্রমিকরা। প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরির কারখানায় তখন কর্তব্যাস্ততা কার্যত চরমে। হঠাৎ তীব্র পোড়া গন্ধ থমকে দিল সেই ব্যস্ততাকে। ততক্ষণে কালো ধোঁয়া ঘিরতে শুরু করেছে গোটা কারখানাকে। এরপর অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝে উঠতে স্রেফ কয়েক মুহূর্ত সময় নিয়েছিলেন শ্রমিকরা। নচেৎ বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডের এই প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরির কারখানাটিতে। এদিকে খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যদিও ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি।
শনিবার দুপুরে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত হয়ে যায় প্রায় গোটা কারখানাটি। তবে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে আগুন। কীভাবে আগুন লাগল না স্পষ্ট জানা না গেলেও উল্টোদিকের অন্য একটি কারখানায় চলা ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি ছিটকে এই কারখানার প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন লাগে বলে কর্তৃকক্ষের দাবি।
কী ঘটেছিল ঘটনাটি?
দমকল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎই আগুন লেগে যায় কারখানার গুদামে। সেখানে মজুত সারি-সারি প্লাস্টিকের চেয়ারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ২১০০ স্কোয়রফুট এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মূল কারখানাটিকেও। সময়মতো বিষয়টি বুঝতে পেরে ততক্ষণে প্রাণ বাঁচাতে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। এ দিকে, আগুনের শিখা কারখানার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশের তরফে খবর যায় দমকলে। এরপর একে একে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের মোট চারটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে আসে গোলাবাড়ি থানার পুলিশও। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দু’ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
যদিও, হাওয়ার গতি বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকে। কীভাবে আগুন লাগলো? কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে রবিকান্ত ছাপারিয়া বলেন, ‘উল্টো দিকের একটি কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ হচ্ছিল। সেখান থেকেই আগুনের ফুলকি ছিটকে আসছিল তাদের কারখানায়। সেইরকমই কোনও ফুলকি তাদের কারখানার গুদামে মজুত সারি সারি প্লাস্টিকের চেয়ারে এসে পড়ায় আগুন লাগে।’ পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, তাঁদের কারখানা থেকে আগুন লাগার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এমনকী সেখানে কোনও সিলিন্ডার পর্যন্ত নেই।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে দমকল জানায়, অগ্নিকাণ্ডের যেটা কেউ হতাহত হননি। তবে কীভাবে আগুন লাগলো সে বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিক ছিল কি না।