Fire Breaks out: বাস ভর্তি যাত্রী, সাঁতরাগাছি ব্রিজে হঠাৎই কালো ধোঁয়া… হুড়মুড়িয়ে নামতে গিয়ে বিপত্তি
Fire: পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমতা-ধর্মতলা রুটের সরকারি বাসটি কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আমতা থেকে ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিল।
হাওড়া: চলন্ত বাসে আগুন। শনিবার বিকেলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল সাঁতরাগাছি ব্রিজে। একটি সরকারি বাসে এদিন আচমকাই আগুন লেগে যায়। বাসের তলা দিয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। চালকের সামনের কাচ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এদিকে বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার ভয়ে পড়ি কী মরি করে বাস থেকে নামতে যান যাত্রীরা। তাড়াহুড়োয় দু’জন যাত্রী আহতও হন। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এদিকে বাসটিতে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য তৎপর হন কোনা ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমতা-ধর্মতলা রুটের সরকারি বাসটি কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আমতা থেকে ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিল। সাঁতরাগাছি ব্রিজে উঠতেই বাসটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। আগুনের স্ফুলিঙ্গও দেখা যায়। ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা। এরইমধ্যে আগুনের তেজ বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে ধোঁয়ার দাপটও। ভয়ে চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। চলন্ত বাস জোর ব্রেক কষে থামানো হয়।
এরপর ব্রিজের উপরই বাসটি দাঁড় করিয়ে চালক ও কনডাক্টর যাত্রীদের নামানোর ব্যবস্থা করেন। যাত্রী ভর্তি ছিল বাসে। কে আগে নামবেন, তার ধাক্কাধাক্কিতে দু’জন আঘাতও পান। বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ততক্ষণে ছুটে আসে কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে তারাই জল দিতে থাকে। খবর পৌঁছে যায় দমকলেও। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। তবে তার আগেই পুলিশ জল দিয়ে আগুন নিভিয়ে বাসটিকে ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে পড়ে হাতে পায়ে চোট পান ডোমজুড়ের বাঁকড়া খাঁ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহিম মোল্লা (৪৬) ও ছেলে ফারহান মোল্লা (১৯)। পুলিশি তৎপরতায় তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার জেরে কিছু সময় সাঁতরাগাছি ব্রিজ ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট তৈরি হয়। তবে পুলিশি তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো যায়।