Howrah Online Fraud Case: হাওড়া অনলাইন প্রতারণা কাণ্ডে আরও ১৩০ কোটির হদিশ
Howrah Online Fraud Case: জামশেদপুরে হানা দেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার আরও ১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি। মিলল আরও ১৩০ কোটি লেনদেনের নথি।
কলকাতা: হাওড়া অনলাইন প্রতারণা কাণ্ডে আরো ১৩০ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছে। আরও ২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করল কলকাতা পুলিশ। পান্ডে ব্রাদার্সের এর আগেও প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। এবার জামশেদপুরে হানা দেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার আরও ১৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি। মিলল আরও ১৩০ কোটি লেনদেনের নথি।
অক্টোবরের ২১ তারিখ জালে ধরা পড়ে এই প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী শৈলেশ পান্ডে ও অরিন্দম পান্ডেকে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও ২ জনকে। অক্টোবর মাসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ব্যাঙ্ক কর্মীরা দেখতে পান,দুই অ্যাকাউন্টের লেনদেন নিয়ে বিস্তর গোলমাল রয়েছে। সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। দিনে কয়েক হাজার টাকার লেনদেন হত। এরপর ওই অ্যাকাউন্টের দুই হোল্ডারকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের কথাবার্তাতে অসঙ্গতি থাকায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান।
এই মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে তদন্তকারীরা অভিযান চালান শিবপুরে। শিবপুরে একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। সেখানে পার্কিং লটে দাঁড়ানো একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েক লক্ষের নগদ টাকা, সোনা ও হিরের গয়না। নাম উঠে আসে শৈলেশ পান্ডে ও তাঁর ভাই অরিন্দম পান্ডের। তদন্ত এগোতেই অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের আবাসনে আরও একটি ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর সোনার গয়নাও।
শৈলেশ পান্ডে ও তাঁর অরবিন্দের ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা। নগদে ৮ কোটি ১৫ লক্ষ ছাড়াও দুটি ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে আরও ২০ কোটি টাকা পাওয়া যায় বলে খবর। এরপর স্ট্র্যান্ড রোডের একটি বহুতল আবাসনেও চলে তল্লাশি অভিযান। সেখানেও শৈলেশের ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে বেশ কিছু টাকার হদিশ মেলে।
প্রথমে জানা যায়, শৈলেশ পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কিন্তু তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, সেই তথ্যও ভুল। পান্ডে ব্রাদার্সকে জেরায় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে। তাতে তদন্তে ১৩০ কোটির লেনদেনের হিসাব মেলে।