Fire at Howrah: সাতখানা গুদাম পুড়ে ছাই, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের কথা বললেন সুজিত বসু
Fire at Howrah: সকাল থেকে হাওয়া বেশি থাকায় আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর বেশি না থাকায় বড় বিপদের আশঙ্কা অনেক কম।
- ঘটনাস্থলে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই কারখানা গুলিতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না কেন, তার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। আইনত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
- মোট সাতটি গুদাম পুড়ে গিয়েছে। কারখানায় যন্ত্রপাতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
- প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। আর নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
- ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীন কুমার ত্রিপাঠী। পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
- দমকলের ১০টি ইঞ্জিন তিন ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নেভাতে পারেনি। ক্রমে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। মোট ১৫টি ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
- জানা গিয়েছে, প্রথমে আগুন লাগে একটি জুট মিলে। সেখান থেকে পাশের গুদামগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দীপাবলির আগে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রবল ক্ষতি হল ব্যবসায়ীদের। কার্যত ছারখার হয়ে গিয়েছে গুদামগুলি। ৩ ঘণ্টা পরও আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে পারেনি দমকল।
দাউ দাউ করে জ্বলছে গোডাউন। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ঢেকে গিয়েছে। শুক্রবার সাত সকালে এমনই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন হাওড়ার ফোরশোর রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার একটি গোডাউনে আগুন লাগে প্রথমে। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেওয়ার পর ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। পুরোদমে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। তবে ভিতরে দাহ্য পদার্থ আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, ফলে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। এছাড়া জলের অভাব থাকায় আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ৩ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন ভোর সাড়ে ৫ টা নাগাদ প্রথম আগুন দেখতে পান তাঁরা। তারপর চোখের নিমেষে সেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেখানে পোশাক সহ বেশ কিছু পণ্যের গোডাউন আছে বলে জানা যাচ্ছে। আর ওই সব গুদামের পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। ফলে, আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুন। ভিতরে দাহ্য পদার্থও রয়েছে অনেক।
ফোরশোরের রোডের পাশে এই এলাকা মূলত কারখানাবহুল। সাধারণ মানুষের বসবাস খুবই কম। গুদামের ভিতরেও কেউ আটকে ছিলেন না বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। কী কারণে এভাবে ভোরবেলা আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ফোরশোর রোডের একটা বড় অংশ যান চলাচল করছে না।
কিছুদিন আগেই আগুন লেগেছিল হাওড়ার মঙ্গলাহাটে। গত জুলাই মাসে মধ্যরাতের আগুনে কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলাহাট। ক্ষতি হয়েছিল বহু ব্যবসায়ীর।