Ration Scam: ‘মন্ত্রীর নির্দেশেই করেছি…’, বালুর নামে আরও এক তথ্য ফাঁস
ED: তদন্তে ইডির নজরে তিনটি সংস্থা। যার মাধ্যমে টাকা লেনদেন চলত। এরমধ্যে দু'টি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিজিৎ দাসের মা মমতা দাস ও স্ত্রী সুকন্যা দাস। অভিজিতের হাওড়ার ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন তিনটি সংস্থারই। ইডির অনুমান, শুধু অভিজিৎই নন, এরকম বহু মন্ত্রীঘনিষ্ঠকেই এভাবে কাজে লাগানো হয়েছে।
হাওড়া: রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়া ইস্তক দফায় দফায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হচ্ছে তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে। প্রতিদিনই তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করছে ইডি। সোমবার সিজিওয় যাওয়ার আগে হাওড়ার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর দাবি, মন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি তাঁর মা ও স্ত্রীকে কোম্পানির ডিরেক্টর পদ বসান। অভিজিৎ দাস আরও বলেন, মন্ত্রীর দুয়ার কার্যত দরবার ছিল। যে কেউ যখন তখন ঢুকে যেতে পারত।
একইসঙ্গে এদিন অভিজিৎ দাস দাবি করেন, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকা লেনদেন চলত। তিনি তা জানতেন। অভিজিতের কথায়, “২০১১ সাল থেকে ২০১৪ অবধি আমি আপ্ত সহায়ক ছিলাম। সেই সময়ের কিছু আমার কাছে জানতে চেয়েছে সবটাই আমি বলছি। আমি সবরকমভাবেই সহযোগিতা করছি এবং করব।”
তদন্তে ইডির নজরে তিনটি সংস্থা। যার মাধ্যমে টাকা লেনদেন চলত। এরমধ্যে দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিজিৎ দাসের মা মমতা দাস ও স্ত্রী সুকন্যা দাস। অভিজিতের হাওড়ার ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন তিনটি সংস্থারই। ইডির অনুমান, শুধু অভিজিৎই নন, এরকম বহু মন্ত্রীঘনিষ্ঠকেই এভাবে কাজে লাগানো হয়েছে।
তবে সোজাসাপ্টা অভিজিৎ দাস বলেন, “এটা তো অনেকেই করে। মন্ত্রী যখন নির্দেশ দেন তখন তো কিছু করতেই হয়। বলেছিলেন, আমাদের নাম দরকার। যেটা হয়েছে আমি এজেন্সিকে বলেও দিয়েছি। আমি জানতাম এমনি একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। মন্ত্রী ব্যবসা করবেন। এর বেশি আমি জানতাম না। আর আমাদের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাও ঢোকেনি।” অভিজিৎ জানান, তাঁর মা ও স্ত্রী দু’ আড়াই বছর এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।