‘দুয়ারে পুরসভা’ করতে গিয়ে বেরিয়ে এল ২০০ কোটি টাকার বকেয়া! পুজোর আগে রাস্তা হবে তো?
Howrah Municipality: : 'দুয়ারে সরকার'- এর আদলে হাওড়ায় শুরু হয়েছে দুয়ারে পুরসভা। বিভিন্ন পুর এলাকায় গিয়ে রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে পুজোর আগেই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে বলে মৌখিকভাবে ঘোষণা করেছে পুরসভা। কিন্তু বেঁকে বসলেন কনট্রাক্টররা।
হাওড়া: ‘দুয়ারে সরকার’- এর আদলে হাওড়ায় শুরু হয়েছে দুয়ারে পুরসভা। বিভিন্ন পুর এলাকায় গিয়ে রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখে পুজোর আগেই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে বলে মৌখিকভাবে ঘোষণা করেছে পুরসভা। কিন্তু বেঁকে বসলেন কনট্রাক্টররা। তাঁদের দাবি, বহুদিন ধরে পুরসভার কাজ করে ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদের পাওনা রয়েছে। পাওনার অন্তত ২৫ শতাংশ না পেলে পুজোর আগে তো দূরস্ত, আর কাজে হাতই দিতে চান না তারা।
প্রাক্তন কাউন্সিলরদের থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের খারাপ রাস্তার তালিকা নিয়ে পুজোর আগে সেখানে প্যাচ ওয়ার্ক করা হবে। প্রশাসক মণ্ডলীর উপ-মুখ্য প্রশাসক দেবাংশু দাসের নেতৃত্বে রাস্তা সারাই প্রসঙ্গে একটি দল মঙ্গলবার বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে। কিন্তু রাস্তা তৈরির কথা কানে যেতেই এদিন বেঁকে বসলেন হাওড়ার কনট্রাক্টররা। হাওড়া পুরসভার সিভিল কনট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানস কুমার ঘোষের দাবি, পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ করে কনট্রাক্টরদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা এখনও পাওনা রয়েছে। সেই টাকা না পেলে তাঁরা পুজোর আগে আর নতুন করে রাস্তার কাজে হাতই দেবেন না তাঁরা।
তিনি আরও বলেন, পাওনা টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ টাকা যদি এখন পান তবেই কাজ করতে রাজি হবেন কনট্রাক্টররা। কনট্রাক্টর সংগঠনের তরফে মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্য প্রশাসকের কাছে তাঁদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপিও জমা দেন।
তাহলে পুজোর আগে রাস্তার কাজ কি বিশ বাঁও জলে?
এই প্রসঙ্গে মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী অবশ্য বলছেন, কনট্রাক্টরদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখা হবে। তবে এজন্য পুজোর আগে রাস্তা তৈরির কাজ থেমে থাকবে না। শহরের ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামতের কাজ করা হবে। তাঁর কথায়, “আগামী শুক্রবার মধ্যে শহরের খারাপ রাস্তার তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। পুজোর আগেই খানাখন্দে ভরা রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হবে।”
এদিকে এদিন বালিতে মুখ্য প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শনে যান। গোসালা রোড, বজরঙ্গবলি এলাকা, ভট্টনগরের রাস্তা ও নিকাশির অবস্থা ঘুরে দেখেন তাঁরা। মুখ্য প্রশাসক ছাড়াও দুই উপ মুখ্য-প্রশাসক দেবাংশু দাস, সৈকত চৌধুরি, পুর কমিশনার ধবল জৈন, বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়–সহ পুরসভার অন্য আধিকারিকরা এই দলে ছিলেন। পরিদর্শনের পর সুজয়বাবু জানান, দ্রুত এখানকার খারাপ রাস্তা মেরামতির পাশাপাশি বালির যে সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে, সেখানে পাম্প না করে নাইট সয়েল গাড়ির মাধ্যমে জমা জল তুলে নেওয়া হবে। এভাবেই ২,২০০ লিটার জলধারণকারী তিনটি গাড়ির সাহায্য শহরের জমা জল বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা হবে। কিন্তু রাস্তার কাজ এগোবে কিনা এ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। আরও পড়ুন: টিকাই কাল! পদপিষ্টে জখম বেড়ে ২৯, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৮