Suvendu Adhikari: ‘দূত নয়, দিদির ভূত’, তৃণমূলের কর্মসূচিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari in Uluberia: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট বিতর্ক নিয়েও খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। 'মেধাযুক্ত, ঘুষমুক্ত কর্মসংস্থানের' দাবিতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা।
উলুবেড়িয়া: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিরোধী শিবির। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন নজরুল মঞ্চে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন, তখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুরে বেরাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর। বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। খলিশালীতে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ঝাঁঝালো ভাষণ দিলেন মঞ্চ থেকে। রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানালেন। খোঁচা দিলেন তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নিয়েও। বললেন, “বলছে নাকি সুরক্ষা দেবে দিদি। দিদির কারা আসবে বাড়িতে? দিদির দূত। ওরা হচ্ছে দিদির ভূত। এই ভূতদের কাজ হল, সাদা খাতায় চাকরি দেয় এই ভূতেরা।”
সেই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট বিতর্ক নিয়েও খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘মেধাযুক্ত, ঘুষমুক্ত কর্মসংস্থানের’ দাবিতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে উঠে এল ‘পশ্চিমবঙ্গের দুই কোটি বেকারের চোখের জলের’ কথাও। বললেন, “প্রত্যেক বেকার যুবক-যুবতীতে প্রতিটি বুথে সংঘবদ্ধ করতে হবে।”
পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পের অবস্থা নিয়েও উলুবেড়িয়ার সভা থেকে শাসক শিবিরকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “শিল্প নেই, শ্মশান।” পরে বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, “সিঙ্গুরে একটি তৈরি হওয়া কারখানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী হয়ে ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন। আর লোক আপনাকে বলে, এ রাজ্যের নেত্রী বটে, শিল্প ভাগান গুজরাটে।”
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলীয় কর্মীদের তাতিয়ে দিয়ে বললেন, “মনোনয়ন জমা থেকে গণনা পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব বিজেপির। কিন্তু জোট আপনাদের বাঁধতে হবে। বুথগুলিকে প্রতিরোধের জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।”
রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা। চাঙ্গা করছেন দলীয় কর্মীদের মনোবল। এখন দেখার, শুভেন্দুর এই ভোকাল টনিক, আসন্ন পঞ্চায়েতের ব্যালটে কতটা প্রতিফলন ফেলতে পারে।
শুভেন্দুর ‘দিদির ভূত’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ভূতের বাড়ি তো একটাই আছে। দিদির ভূত যদি কেউ থাকে, সেটি তো শুভেন্দু অধিকারী। কারণ দিদির স্নেহে, দিদির আস্থায়, দিদির দয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবার বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর গাদা গাদা পদ পেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী যদি দিদির ভূত কথাটি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে একটিই দিদির ভূত। শুভেন্দু অধিকারী। ভূতের বাড়ি একটিই। অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের বাড়ি।”