Coromandel Express Accident: করমণ্ডলে চা বিক্রি করতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হল না শ্যামপুরের পিনাকীর
Coromandel Express Accident: ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আড়াইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯০০। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উলুবেড়িয়া: সামান্য উপার্জনে কোনওমতে চলত সংসার। করতেন জরির কাজ। করোনাকালে টানা লকডাউনে (Lockdown) সেই কাজেও দেখা গিয়েছিল মন্দাদশা। শেষে সংসারের ঘানি টানতে ট্রেনে হকারি করতে শুরু করেছিলেন শ্যামপুরের পলতাবেড়িয়ার বছর পঁয়তাল্লিশের পিনাকী মণ্ডল। বর্তমানে থাকতেন ওড়িশাতে। সেখান থেকেই বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন চা। শুক্রবার তিনিও চড়েছিলেন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express derailed)। করছিলেন চা বিক্রি। কিন্তু, কে জানত কাজ সেরে আর ফেরা হবে না বাড়ি। মর্মান্তিক এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
খবর চাউর হতেই শোকের ছায়া হাওড়ার শ্যামপুরের পলতাবেড়িয়ায়। ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মেয়ে বর্ষা মণ্ডল। তিনি বলছেন, “মাসে ২০-২২ দিন ওড়িশাতেই থাকত বাবা। কিছুদিন আগে বাড়ি এসেছিল। তারপর ফের কাজে বেরিয়ে যায়। কাল-পরশুর মধ্যে ফেরার কথা ছিল। তারমধ্যেই তো খবরে দেখলাম দুর্ঘটনার খবর। ওখানে আমার মাসির বাড়ি। ওরাও খোঁজ-খবর শুরু করে। জানা যায় বাবার কথা।”
গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ পিনাকীবাবুর স্ত্রীও। ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল তাঁকে। ঘটনায় তাঁর দিদি বলছেন, “টাকা-পয়সা তো বেশি ছিল না। তাই বাইরে গিয়ে ও হকারি করত। বেশ কিছু বছর ধরেই ও এই কাজ করে আসছে। ১৭ দিন আগে ও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ফেরারও কথা ছিল সামনে।” প্রসঙ্গত, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আড়াইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯০০। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।