Crime: সহপাঠিনীদের কটূক্তি, প্রতিবাদ করায় যুবককে ওভারব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা
Howrah: কলেজে যাওয়ার সময় দুই যুবক সহপাঠিনীদের খারাপ কথা বলছিল। প্রতিবাদ করায় তেড়ে আসে দুই যুবক। সাময়িক ঝামেলা মিটেও যায়। কিন্তু বিকেলে ঘটে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
হাওড়া: দুই সহপাঠীকে ইভটিজিং। তারই প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত যুবক। অভিযুক্তদের হামলায় মাথা ফেটে যায় তাঁর। বালিঘাট স্টেশনের (Balighat Station) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়ায় বালিঘাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ, শনিবার দুই কলেজ ছাত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদেরই সহপাঠী যুবক। তাতেই বালিঘাট স্টেশনে লাঠি, বাঁশ, ইট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী খুনেরও চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বালিঘাট স্টেশনের ওভারব্রিজ থেকে ওই ছাত্রকে নীচে ঠেলে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করে একদল যুবক। শনিবার বিকেলে কলেজ থেকে ফিরছিলেন হুগলির উত্তরপাড়া প্যারিমোহন কলেজের ছাত্র বিশাল মণ্ডল। শুধু তাঁকে নয়, তাঁর দুই সহপাঠিনীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিশালের। মাথায় আঘাত লাগে বিশালের। শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বিশালকে প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলে বর্তমানে তিনি নিশ্চিন্দার রাজচন্দ্রপুরের নিজের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। বাড়িতে চিকিৎসা চলছে দুই ছাত্রীরও।
আহত কলেজ পড়ুয়ার দাবি, এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে তিনি শনিবারই বালি থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বালি থানা ঘটনার কথা সবকিছু শুনলেও স্টেশনের ঘটনা জিআরপির কেস বলে অভিযোগ নেয়নি। বিশালের কথায়, থানা ও জিআরপি কার জুরিসডিকশনে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা এ ব্যাপারে কোথাও অভিযোগ জানাতে পারেনি।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসতেই বেলুড় জিআরপি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্যারিমোহন কলেজের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্র বিশাল ও তাঁর দুই সহপাঠিনীর অভিযোগ, শনিবার সকালে তাঁরা তিন জন যখন কলেজ যাচ্ছিলেন তখন বালিঘাট স্টেশনে দুই যুবক খারাপ কথা বলছিল। বিশাল তার প্রতিবাদ করে। তখন ওই দুই যুবক বিশালকে মারধর করে। বিশালকে মারধর করছে দেখে তাঁদের কলেজের অন্য ছাত্ররা তাঁকে বাঁচায়। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়।
কিন্তু শনিবার বিকেলে ফের যখন ওই তিন পড়ুয়া বালিঘাট স্টেশন দিয়ে ফিরছিলেন, তখন ওই দুই যুবক প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন যুবককে নিয়ে এসে বিশালকে বেধড়ক মারধর করে। বিশালের বক্তব্য, তাঁর পিঠে ওই দুষ্কৃতীরা ছুরি মারতে গেলে স্টেশনে থাকা এক মহিলা তাঁকে বাঁচান। স্টেশনের অন্য যাত্রীদের বিষয়টি নজরে এলেও কেউ তাঁদের বাঁচাতে যায়নি বলেও অভিযোগ কলেজ পড়ুয়ার। বিশালের দুই সহপাঠিনী বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও গায়ে হাত তোলে অভিযুক্তরা।