লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন যুবক, মোক্ষম সময়ে ছুটে এলেন দুই সহযাত্রী
অবসাদে আত্মহত্যাকেই পথ ভেবে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।
হাওড়া: ভরা গঙ্গায় লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন (Attempt to Suicide) বিশ্বজিৎ দাস নামে বছর ৪৭-এর এক যুবক। অল্পের জন্য তাঁর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেন অন্য লঞ্চের দুই যাত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুটিঘাট থেকে বেলুড় আসার পথের ১২ নম্বর লঞ্চে ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। সেখান থেকেই জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই পাশের ১৫ নম্বর লঞ্চ থেকে নিমাই চাঁদ কর ও শেখর রায় নামে দুই ব্যক্তি জলে ঝাঁপ দেন বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে জল থেকে তুলে আনতে সক্ষম হন নিমাই, শেখররা। বিশ্বজিৎকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয়েছে বিশ্বজিতের বাড়িতেও।
আরও পড়ুন: ফের শাহি-সফর বঙ্গে, সিএএ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা শুনতে কান খাড়া মতুয়াদের
জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ হরিদেবপুরের বাসিন্দা। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন তিনি। সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরোতে ফের ওই সংস্থাতেই কাজের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু কাজ পাননি। তখন থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন। তারপরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে অনুমান।
বিশ্বজিতের পরিবার জানিয়েছে, তাঁর অবসাদের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না কেউ। বাড়িতে পুলিশের ফোন যেতেই রীতিমতো শঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। ছেলের প্রাণ বাঁচানোর জন্য নিমাই ও শেখরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্বজিতের মা। নিমাই চাঁদ কর ও শেখর রায়কে পুলিশের পক্ষ থেকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হবে জানা গিয়েছে।