Howrah: রক্তে ভাসছে শাড়ি, কোকাচ্ছেন আর কেঁদেই চলেছেন শিক্ষিকা, ঘরে ষণ্ডামার্কা পাঁচজন… হাড়হিম করা ঘটনা হাওড়ায়

Howra News: প্রসঙ্গত, হাওড়া গ্রামীণের এই জগৎবল্লভপুর থানাই সম্প্রতি কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে দেশের সেরা থানার তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে ৭৪ নম্বরে নাম রয়েছে জগৎবল্লভপুরের।

Howrah:  রক্তে ভাসছে শাড়ি, কোকাচ্ছেন আর কেঁদেই চলেছেন শিক্ষিকা, ঘরে ষণ্ডামার্কা পাঁচজন... হাড়হিম করা ঘটনা হাওড়ায়
শিক্ষিকার বাড়িতে ডাকাতি। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2022 | 11:04 AM

হাওড়া: জগৎবল্লভপুরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই শিক্ষিকার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের পর শুক্রবার ভোরের দিকে কালীতলা ঘোষপাড়ায় এক শিক্ষিকার বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী হানা দেয় বলে অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, বাড়ির সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে নগদ টাকা, বহুমূল্যবান গয়না নিয়ে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ, ঘটনার পর একাধিকবার জগৎবল্লভপুর থানায় তাঁরা ফোন করেন। কিন্তু সেই ফোন কেউ তোলেননি। বাধ্য হয়েই তাঁরা পুলিশ সুপারের দফতরে ফোন করেন। শিক্ষিকার পরিবারের দাবি, সেখান থেকে জগৎবল্লভপুর থানায় জানানো বলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রসঙ্গত, হাওড়া গ্রামীণের এই জগৎবল্লভপুর থানাই সম্প্রতি কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে দেশের সেরা থানার তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে ৭৪ নম্বরে নাম রয়েছে জগৎবল্লভপুরের।

বৃহস্পতিবার জগৎবল্লভপুর পাতিয়াল শিবানন্দবাটির প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরদিনই ভোরে জগৎবল্লভপুর কালীতলা ঘোষপাড়া এলাকায় শিক্ষিকার বাড়িতে ঘটে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কল্যাণী ঘোষ নামে এক শিক্ষিকার বাড়িতে পাঁচজনের এক ডাকাত দল চড়াও হয়। ষণ্ডামার্কা চেহারা তাদের। অভিযোগ, পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ঘরে ঢুকেই বাড়ির সদস্যদের বেধড়ক মারতে শুরু করে অভিযুক্তরা। এরপরই ৩৫ হাজার নগদ টাকা, প্রায় ২০ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষিকার বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো আছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তা দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ার আগে সিসিটিভি মেশিনের হার্ডডিক্সও খুলে নিয়ে যায়।

কল্যাণী ঘোষের কথায়, “আমার শরীর খুব খারাপ। সারারাত ওআরএস খেয়ে ছিলাম। জল খাব বলে উঠছি। হঠাৎই আমার মাথায় কী একটা দিয়ে আঘাত করা হল। আমি তো চিৎকার করতে থাকি। অন্ধকার ঘর। কিছু দেখতেও পাচ্ছি না। আমার স্বামীকেও মারতে শুরু করে একজন। পাশেই মেয়ে থাকে আমি চিৎকার করে ওকে ডাকি। ও ছুটে আসতেই ওকেও একইভাবে মারে।”

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কল্যাণীদেবী। বাঁ চোখ ফুলে ঢোল। একেবারে বন্ধ। সেদিকেই কপালে ব্যান্ডেজ। দরদর করে ঘামছেন। বলতে থাকেন, “কোনওভাবে আলো জ্বালাই। দেখি সারা শরীর রক্তে ভাসছে। পাঁচজন ঘরে ঢুকেছিল। একজন বাইরে ছিল। নগদ তো নিয়েছেই। মেয়ের বিয়ে দেব বলে গয়না করে রেখেছিলাম। তাও নিয়ে গেছে। প্রায় ২০ ভরি। ঘর পুরো খালি করে দিয়ে গেল।”