Chhat Puja: ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত গাড়ির চালক, ছটের সন্ধ্যায় ম্যাটাডর উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

Howrah News: গাড়ি উল্টে জখম হন ২০ জন। এর মধ্যে ২ জন শিশুও আছে।

Chhat Puja: ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত গাড়ির চালক, ছটের সন্ধ্যায় ম্যাটাডর উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 9:29 PM

হাওড়া: ছটের সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গঙ্গাপুজো সেরে ফিরছিলেন পুণ্যার্থীরা। মাঝ রাস্তায় উল্টে যায় ম্যাটাডর। আহত হয়েছেন ২০ জন। অভিযোগ, গাড়ি চালানোর সময় ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত ছিলেন চালক। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নিবড়ায় উল্টে যায় ম্যাটাডরটি।

রবিবার গঙ্গায় ছট পুজো সেরে ছোট একটি ম্যাটাডরে বাড়ি ফিরছিলেন পুণ্যার্থীরা। ২৫ জন ছিলেন গাড়িতে। জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই বাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা। কয়েকজন শিশুও ছিল সেখানে। সন্ধ্যা তখন সাড়ে ৭টা। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের নিবরা মোড়ের কাছে দ্রুত গতিতে চলা ওই ম্যাটাডরটি রাস্তার ধারে থাকা একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।

এরপরই সেটি উল্টে যায় বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। যেহেতু ম্যাটাডর, ধাক্কা লাগতেই অনেকে ছিটকে পড়েন রাস্তার ধারে। প্রত্যেকেই কম বেশি আহত হন। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। বাঁকড়ার মিশ্র পাড়া থেকে এদিন বিকেলে হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ছট পুজো করতে গিয়েছিলেন পুণ্যার্থীদের ওই দলটি। তাঁদের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি চালককের অসাবধানতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা।

পুণ্যার্থীরা জানান, ব্যস্ত সময়ে স্টিয়ারিং সিটে বসে গাড়ির চালক ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন। স্বভাবতই মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। জাতীয় সড়কে এভাবে গাড়ি চালানোর জন্য নিবরা মোড়ে গাড়ি বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তাতেই চলন্ত গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে আহত হয় দুই শিশু-সহ ২০ জন।

তাঁদের মধ্যে ছ’জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কোনা ট্রাফিক গার্ড ও নিবরা ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ির চালকও আহত হন। ঠিক কী কারণে ঘটল এই পথদুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে ট্রাফিক পুলিশ। আটক করা হয়েছে গাড়িটি।

রবিবার কলকাতার দইঘাট ও হেস্টিংসে ছট পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন ধীরে সুস্থে যেন সকলে যাতায়াত করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ ধীরে ধীরে যান। সঙ্গে বাচ্চারা থাকবে। তাড়াহুড়ো করবেন না।”