Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diwali: কুঁড়েঘরেতে আলোর প্রবেশ, দীপাবলিতে চোখে জল বৃদ্ধার

Jalpaiguri News: চাঁদা তুলে অসহায় বৃদ্ধার ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দিয়ে দীপাবলির আলোর উৎসবে সামিল করালেন জলপাইগুড়ি খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য গৌরী রায় শীল। দীপাবলিতেই প্রথম আলো জ্বলল খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পোড়া পাড়া বুথের বাসিন্দা পানবালা রায়ের বাড়িতে।

Diwali: কুঁড়েঘরেতে আলোর প্রবেশ, দীপাবলিতে চোখে জল বৃদ্ধার
সিপিএম সদস্যের উদ্যোগে দীপাবলিতেই বৃদ্ধার বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2023 | 9:10 PM

জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ের পরই কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা ভোলেননি। চাঁদা তুলে অসহায় বৃদ্ধার ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দিয়ে দীপাবলির (Diwali) আলোর উৎসবে সামিল করালেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য গৌরী রায় শীল। দীপাবলিতেই প্রথম আলো জ্বলল খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পোড়া পাড়া বুথের বাসিন্দা পানবালা রায়ের বাড়িতে। সিপিএম নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে দীপাবলির রাতে বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দুই সন্তানহারা বিধবা বৃদ্ধা। তাঁর দুই চোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রুধারা।

স্থানীয় সিপিএম কর্মী অনিল চন্দ্র রায় জানান, পানবালা রায়ের দুই ছেলে ছিল। এক ছেলে আত্মহত্যা করেন। পরে আরেক ছেলে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর পরিবারে আরও আর্থিক কষ্ট নেমে আসে। অসহায় বৃদ্ধা কোনক্রমে কাজ করে দিনযাপন করেন। ফলে তিনি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেননি। মোমবাতি, হ্যারিকেনের আলোতেই দিন-যাপন করতেন। পঞ্চায়েত সদস্য গৌরী রায় শীলের উদ্যোগে অবশেষে তাঁর কুঁড়েঘরে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে উঠল।

এই বিধবা বৃদ্ধা আর্থিক কষ্টে তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেননি। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ওই বুথে জিতেছে সিপিএম প্রার্থী গৌরী রায় শীল। সম্প্রতি বৃদ্ধার বিদ্যুৎহীন বাড়িতে থাকার বিষয়টি নজরে আসে গৌরী রায় শীলের। এরপর তিনি বৃদ্ধাকে কথা দিয়েছিলেন, দীপাবলির মধ্যে যেভাবেই হোক তাঁর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেবেন। সেই কথা তিনি ভোলেননি। গৌরী রায় শীল বলেন, “ভোটে জেতার পর জনসংযোগ করতে গিয়ে বিষয়টি আমার নজরে আসে। এরপর আমি বিষয়টি আমাদের কর্মীদের জানাই। সকলে মিলে চাঁদা তোলার উদ্যোগ নিই। আজ উনার বাড়িতে আলো জ্বালিয়ে দিতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।”

দীপাবলিতে বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে উঠলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পানবালা রায়। তিনি বলেন, ছেলেরা মারা যাওয়ার পর আমি নিজেই দিনমজুরি করে কোনওভাবে সংসার চালাই। অর্থাভাবে কোনদিন লাইট নিতে পারিনি। কিন্তু কাউকে বলিনি আমাকে সাহায্য করতে। তবে আমাদের নতুন পঞ্চায়েতে যে এইভাবে আমার পাশে দাঁড়াবে তা কোনদিন ভাবিনি। আজ দীপাবলি। বাড়িতে প্রথম লাইট জ্বলবে। আমি খুব আনন্দিত।’ কথা বলতে-বলতে বৃদ্ধার গাল বেয়ে নেমে আসে আনন্দাশ্রু।