Awas Yojana: আবাস যোজনা বিতর্ক, বুথ সভাপতিকে হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে যান তিনি। তাঁকে কাছে পেয়ে আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া সহ দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা।

Awas Yojana: আবাস যোজনা বিতর্ক, বুথ সভাপতিকে হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2022 | 9:19 PM

জলপাইগুড়ি: উপাধি মাতব্বর হতে পারে, কিন্তু ওঁনার কোনও মাতব্বরি তৃণমূল দলে চলবে না। বুথ সভাপতিকে এই ভাষাতেই হুশিয়ারি দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া গোপ। আবাস যোজনার সমীক্ষায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গেই এমন হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। শুধু তাই নয়, শুক্রবার তিনি পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের জমিদার পাড়ায় গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের দুরাবস্থার কথা শুনে পাশে থাকার বার্তা দেন।

এদিন দুপুরে পাহাড়পুর অঞ্চলে আসেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে যান তিনি। তাঁকে কাছে পেয়ে আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া সহ দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “গতকাল শ্রী হরি মাতব্বর যা করেছেন দল তা সমর্থন করে না। ওনার উপাধি মাতব্বর হতে পারে, কিন্তু ওনার এহেন আচরণ তৃণমূল দল বরদাস্ত করবে না।” দলীয় নেতাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।

প্রসঙ্গত, আবাস যোজনার তালিকা রি-ভেরিফিকেশন করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জমিদার পাড়ায় যান বিডিও অফিসের আধিকারিকেরা। তাঁরা পাহাড়পুর অঞ্চলের জমিদার পাড়া বুথের তৃণমূল বুথ সভাপতি শ্রীহরি মাতব্বরের বাড়িতেও যান। তাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। বিডিও অফিসের আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে সার্ভের কাজে গেলে খোদ শ্রীহরি মাতব্বর আধিকারিকদের আটকে দেন বলে অভিযোগ। বাধা দেন তাঁর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও। তাঁদের দাবি আরও অনেকের পাকা বাড়ি আছে। আগে তাদের ভেরিফিকেশন করতে হবে। তারপর তাঁদের বাড়ির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পারেন আধিকারিকরা। এই ঘটনায় চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে। খবরটি প্রকাশিত হতেই অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের অন্দরে। এরপরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।