Ivory Sumggling: বিশাল বিশাল হাতির দাঁত বিক্রির চেষ্টা, বনকর্মীদের হাতে গ্রেফতার ৫ পাচারকারী

Elephant Tusk Smuggling: শিলিগুড়ি চত্বরে কোনও এক ব্যক্তির কাছে ওই হাতির দাঁতগুলি বিক্রি করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। প্রায় ২০ লাখ টাকায় ওই হাতির দাঁতগুলি বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু সেই পাচারের আগেই তাদের ধরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা।

Ivory Sumggling: বিশাল বিশাল হাতির দাঁত বিক্রির চেষ্টা, বনকর্মীদের হাতে গ্রেফতার ৫ পাচারকারী
গ্রেফতার পাঁচ পাচারকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2023 | 1:18 PM

জলপাইগুড়ি: হাতির দাঁত (Elephant Tusk) পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বন দফতর। শুক্রবার শিলিগুড়ি – জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জাতীয় সড়কের কাছে পানিকৌরি এলাকা থেকে পাচারকারীদের পাকড়াও করেন বন দফতরের কর্মীরা। তাদের থেকে মোট চারটি বিশাল আকারের হাতির দাঁত পাওয়া গিয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, ২০ লাখ টাকায় ওই হাতির দাঁতগুলি বিক্রির ছক কষেছিল পাচারকারীরা। বন দফতরের কর্মীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মতো গতকাল আগেভাগেই প্রস্তুত ছিলেন বনকর্মীরা। ধৃতদের গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বন দফতর। ওই পাচারকারীরা কোথা থেকে এই হাতির দাঁত নিয়ে আসছিল, কোথায় পাচারের ছক ছিল, সেই সব বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা।

প্রাথমিকভাবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা অসমের জঙ্গল থেকে হাতি শিকার করে সেই হাতির দাঁত পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। শিলিগুড়ি চত্বরে কোনও এক ব্যক্তির কাছে ওই হাতির দাঁতগুলি বিক্রি করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। প্রায় ২০ লাখ টাকায় ওই হাতির দাঁতগুলি বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু সেই পাচারের আগেই তাদের ধরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে শিলিগুড়ি – জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের পানিকৌরি এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলেন বনকর্মীরা। পথচলতি গাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময়েই একটি বেসরকারি বাসে পাঁচ জনের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় বনকর্মীরা।

এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে সন্দেহ আরও জাগে বনকর্মীদের। তাদের কথাবার্তা সন্তোষজনক ছিল না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসংলগ্ন উত্তর আসছিল। এরপর তাদের তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে চারটি বিশাল আকারের হাতির দাঁত। এরপরই ওই পাঁচ চোরা শিকারীকে গ্রেফতার করেন গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনকর্মীরা। তাদের জেরা করে এই পাচারচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব বিষয়ের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা।