Special Stone: কেরামতি পাথরেই টলবে বিপদ, হামলে পড়ে কিনছিলেনও সকলে; এরপর…

Jalpaiguri: এমনকী এক জোড়া পায়রা ও কিছু প্লাস্টিকের সাপ নিয়েও এসেছিলেন ওই পাথর ব্যবসায়ীরা। টাকার বিনিময়ে ক্রেতাদের হাতে গুঁজে দিচ্ছিলেন ওই 'কেরামতি পাথর'। ওই দলে থাকা এক যুবক জানান তাঁর নাম সোলজার। তাঁরা এসেছেন জয়পুর থেকে। সোলজার বলেন, তাঁরা মাদারির খেলা দেখান। কেউ খুশি হয়ে ১০-২০ টাকা যা দেন নেন।

Special Stone: কেরামতি পাথরেই টলবে বিপদ, হামলে পড়ে কিনছিলেনও সকলে; এরপর...
কেরামতি পাথর নামে এসবই বিক্রি করা হচ্ছিল। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 11:00 PM

জলপাইগুড়ি: সুদূর রাজস্থান থেকে ‘কেরামতি পাথর’ এনে বিক্রি করছিলেন একদল যুবক। সে পাথর কতরকমের কেরামতি জানে, রাজস্থানি যুবকদের একটি দল তা শোনাচ্ছিলেন জলপাইগুড়ি দিন বাজার এলাকায়। কিন্তু এসব ভাঁওতাবাজি টিকল না বেশিক্ষণ। ‘বুজরুকি’ দিয়ে ‘কেরামতি পাথর’ বেচতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হল ভিন রাজ্যের যুবকদের।

একদল যুবক রবিবার এলাকায় বিশেষ পাথর নিয়ে হাজির হন। তাঁরা দাবি করেন, মরুরাজ্য থেকে আনা এই পাথর কাছে রাখলে সাপখোপ নাকি ধারেকাছে আসবে না। এমনকী সাপ এসে কাউকে যদি ছোবলও দিয়ে দেন, ওই পাথর দংশানো স্থানে বুলিয়ে দিলে মুহূর্তে সেই বিষ পাথর শুষে নেবে। বিষমুক্ত হবেন যে কেউ।

এমনকী এক জোড়া পায়রা ও কিছু প্লাস্টিকের সাপ নিয়েও এসেছিলেন ওই পাথর ব্যবসায়ীরা। টাকার বিনিময়ে ক্রেতাদের হাতে গুঁজে দিচ্ছিলেন ওই ‘কেরামতি পাথর’। ওই দলে থাকা এক যুবক জানান তাঁর নাম সোলজার। তাঁরা এসেছেন জয়পুর থেকে। সোলজার বলেন, তাঁরা মাদারির খেলা দেখান। কেউ খুশি হয়ে ১০-২০ টাকা যা দেন নেন।

এদিকে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় জলপাইগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের একটি দল। ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে সবটা দেখছিল তারা। এরপরই সোলজার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের হাতেনাতে ধরে। বোকা হাসি হেসে সোলজার বলেন, পেটের জন্য এসব করি। আর কখনও হবে না বলে এলাকা ছাড়েন তিনি।

পরিবেশ প্রেমী দেবার্ঘ্য রক্ষিত বলেন, “আমাদের কাছে ফোন আসে এখানে খেলা দেখানো হচ্ছে। আমরা এসে এলাকায় আড়াল থেকে দেখছিলাম সবটা। দেখি প্লাস্টিকের সাপ এনেছেন, পায়রা এনেছেন ডানা কাঁটা। সঙ্গে কিছু পাথর এনেছিল। বলছিল, এই পাথর থাকলে নাকি সাপ কামড়ায় না। এসব শুনে লোকজনের ভিড় হচ্ছিল। আর ওনারা মিথ্যা বলে টাকা নিচ্ছিলেন। এই পাথরগুলো আসলে অ্যাকোরিয়ামের পাথর। আর সাপের কামড়ের একটাই ওষুধ এভিএস বা অ্যান্টি ভেনম সিরাম।”