North Bengal Weather Update: দেদার বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে, জল জমে এক সপ্তাহ ধরে নাজেহাল বাসিন্দারা

Weather Update: বিশেষ করে শহরের ২৫ নং ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনি,নিচ মাঠ প্রভৃতি এলাকার বাড়িগুলিতে জল ঢুকে পড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বাসিন্দাদের। ঘর ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ফ্লাড শেল্টার,কিংবা কমিউনিটি হলে যাচ্ছে এলাকার মানুষ।

North Bengal Weather Update: দেদার বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে, জল জমে এক সপ্তাহ ধরে নাজেহাল বাসিন্দারা
জল জমে নাজেহালImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 5:16 PM

জলপাইগুড়ি: লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার শহরের জল কমতেই ফুলে ফেঁপে উঠলো করলা নদী। আর সেই জলে রবিবার দুপুরে ফের প্লাবিত হল জলপাইগুড়ি পরেশ মিত্র কলোনী। দুর্গত পরিবার গুলি আশ্রয় নিতে শুরু করেছে ফ্লাড শেল্টারে।

রবিবার রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ১৩৬ মিলিমিটার। আর এর জেরে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে শহরের জল কমতে থাকে। বৃষ্টির জল বিভিন্ন নালা দিয়ে গিয়ে পড়ে করলা নদীতে। ফলে যার জেরে বেড়ে গিয়েছে নদীর জল। আর এর জেরে করলা নদীর পাড়ে থাকা ১ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে যায় বহু বাড়ি।

বিশেষ করে শহরের ২৫ নং ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনি,নিচ মাঠ প্রভৃতি এলাকার বাড়িগুলিতে জল ঢুকে পড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বাসিন্দাদের। ঘর ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ফ্লাড শেল্টার,কিংবা কমিউনিটি হলে যাচ্ছে এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে এসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। পাশাপাশি এলাকার পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন পৌরসভার কর্মীরা।

ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা বিনা দে বলেন, “বছরে অন্তত চার থেকে বার আমাদের এই অসহায় পরিস্থিতি হয়। এখন এইসব আমাদের গায়ে সয়ে গিয়েছে। আমরা জানি বৃষ্টি হলেই আমাদের ঘরে জল ঢুকবে। আর আমাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। এবারেও তাই যাচ্ছি। তবে আমরা চাই নদীতে বাঁধ দেওয়া হোক।” স্থানীয় কাউন্সিলর পৌষাল দাস বলেন, “কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন করলায় জল বাড়লেই পরেশ মিত্র কলোনি জলমগ্ন হয়ে যায়।আজ দুপুরের পর থেকে নতুন করে জল ঢুকেছে। আমরা এলাকায় আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। শেল্টার হোম খুলে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে শুকনো খাবার ও পানীয় জল দেওয়া হয়েছে। রাতে তৈরী খাবার দেওয়া হবে। যাবতীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এক সপ্তাহ আগে থেকে জল জমে রয়েছে। প্রতি বছর একই অবস্থা। বলে বাঁধ তৈরি হবে। কিছুই হয় না। অভিযোগ করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েছি। প্রতিবার এইভাবে জল জমে কাউন্সিলরের লোক আসে। দেখে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।”