পরিচারিকার নগ্ন ভিডিয়ো কাণ্ডে ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী

ধূপগুড়ির খলইগ্রাম এলাকায় এক নাবালিকার নগ্ন ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল সদস্যার বাড়িতে পরিচারিকার করত ওই নাবালিকা।

পরিচারিকার নগ্ন ভিডিয়ো কাণ্ডে ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 8:06 PM

ধূপগুড়ি: অবশেষে কিশোরী পরিচারিকার নগ্ন ভিডিয়ো কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে মূল অভিযুক্ত পার্থ সরকারকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে তার মেডিকেল চেকআপ করা হয়। এরপর জলপাইগুড়ি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ধূপগুড়ির খলইগ্রাম এলাকায় এক নাবালিকার নগ্ন ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল সদস্যার বাড়িতে পরিচারিকার করত ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত পার্থ সরকার কিশোরীকে নগ্ন করে ভিডিয়ো করতে চায় বলে অভিযোগ। প্রথমে তার স্ত্রী তাকে বাধা দেয়। কিন্তু পার্থ জানায় এসব কেউ জানবে না। এরপর মদের বোতল খুলে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও কিশোরীকে জোর করে খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তারপর কিশোরীর পরনের পোষাক খুলতে বলে সে। কিন্তু সে রাজী না হলে চড় মারা হয়। এমনকি লাঠি দিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অসহায় কিশোরী পরনের পোষাক খুলতে বাধ্য হয়।

এর পর তাকে হাসতে বলা হয় এবং সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো মোবাইলে তুলে রাখে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। কিছুদিন পর সেই ভিডিয়ো এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পর নাবালিকার পরিবারের তরফে ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের পরের দিনই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমার সরকারকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্ব দল থেকে সাসপেন্ড ঘোষণা করে ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে। যদিও অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত পার্থ সরকার।

এর মধ্যে সোমবার ধূপগুড়ি থানা, বিডিও এবং এলাকার প্রধানকে উত্তরবঙ্গ হরিজন এবং বাসফোর ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এরপর রীতিমতো চাপে পড়ে যায় প্রশাসন। অভিযুক্তকে ধরতে শুরু হয় জোর তৎপরতা। অবশেষে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন: কিশোরীকে মদ খাইয়ে অর্ধনগ্ন ভিডিয়ো ভাইরাল! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী 

এ বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, আইন আইনের মতো কাজ করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সেই কিশোরী তরফ থেকে। আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূল কোনও অসামাজিক কাজের পাশে নেই।