Dooars Resort: ছিঃ! মদ খেয়ে এসে ডুয়ার্সের রিসর্টে এ কী করলেন পুলিশকর্মীরা

শনিবার নদিয়া থেকে পর্যটকদের একটি দল ডুয়ার্সের চালসা ইনডর মোড় এলাকার এক রিসোর্টে ওঠেন। সেদিন রাতে হঠাৎই চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন পুলিশের পোশাক পরা তিন জন রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছেন। রিসর্টের কর্মীদেরও মারধর করতে দেখেন।

Dooars Resort: ছিঃ! মদ খেয়ে এসে ডুয়ার্সের রিসর্টে এ কী করলেন পুলিশকর্মীরা
মেটেলি থানাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2023 | 8:36 AM

জলপাইগুড়ি: বেসরকারি রিসর্টে গভীর রাতে এসে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেটেলিতে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রিসর্টে থাকা পর্যটকরাও।

শনিবার নদিয়া থেকে পর্যটকদের একটি দল ডুয়ার্সের চালসা ইনডর মোড় এলাকার এক রিসোর্টে ওঠেন। সেদিন রাতে হঠাৎই চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন পুলিশের পোশাক পরা তিন জন রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছেন। রিসর্টের কর্মীদেরও মারধর করতে দেখেন। ঘুরতে এসে এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। পর্যটকদের গাড়ির চালককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। এর পর মেটেলি থানার পুলিশকে খবর দেন ওই রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, মেটেলি থানার তিন পুলিশ কর্মী শনিবার রাতে চালসার রিসোর্টে যান। সেখানে ঘরের বুকিং চান। কিন্ত ঘর খালি না থাকায় পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। এর পরেই মদ্যপ অবস্থায় রিসোর্ট কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এমন কি ঘুরতে আসা পর্যটকদের গাড়ির চালক কে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে মেটলি থানার অন্যান্য পুলিশ অধিকারী ছুটে যান সেই রিসোর্টে। অভিযোগ তাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় মত্ত পুলিশ আধিকারিকের।

এদিকে ইতিমধ্যেই রিসোর্টে পুলিশ আধিকারিকের তান্ডবের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাদের পর্যটক দের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তাদের এ ধরনের আচরণ স্বাভাবিকভাবে চিন্তায় ফেলেছে পর্যটক এবং পর্যটন ব্যাবসায়ীদের।

নদিয়া থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা ও সন্তু গুহ-রা বলেন, “আমরা নদিয়া থেকে ডুয়ার্সে ঘুরতে এসেছি। রাতের বেলা চালতার একটি রিসোর্টে উঠেছিলাম সেখানে এক পুলিশ কর্মী মত্ত অবস্থায় রিসোর্ট এর কর্মীকে মারধর শুরু করে আমাদেরকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে। এমনকি আমাদের চালক তাদের গন্ডগোল থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পুলিশের এমন তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আমাদের সঙ্গে থাকা মহিলা ও শিশুরা। পরে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি, শুধুমাত্র তর্কাতর্কি হয়েছে।”