TMC Dharna: তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি নিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছেন শুভেন্দু, অভিযোগ আদালত অবমাননার
BJP: প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার দুপুরে ধূপগুড়ি যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নব নির্বাচিত বিজেপি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও করেন শুভেন্দু।
জলপাইগুড়ি: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ ছিল রবিবার। এই কর্মসূচিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের মোহিত নগর এলাকায় তৃণমূলের ধরনা হয়। জলপাইগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপকুমার বর্মার নেতৃত্বে তা হয়। অভিযোগ, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর বাড়ির সামনে ধরনামঞ্চ হয়। সেখানেই হাজারখানেক তৃণমূল কর্মীও হাজির ছিলেন। যা আদালতের নির্দেশ অবমাননার সমান বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার। যদিও তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোথাও কোনও নিয়ম ভাঙা হয়নি। করা হয়নি আদালত অবমাননাও।
প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার দুপুরে ধূপগুড়ি যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নব নির্বাচিত বিজেপি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও করেন শুভেন্দু। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। পাশেই ছিলেন বাপী গোস্বামীও। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিষয়টি জানাবেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “আমরা পুরোটাই নজরে রেখেছি। ওরা সব জায়গায় এটা করেনি। যেখানে যেখানে করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে যাব। আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার জন্য কোর্টে যাব। ৫ তারিখ নির্দেশ ছিল। ওরা করেনি। আজকেরও কর্মসূচিতে কোনও সাড়া ফেলেনি। যারা আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখায় তাদের জন্য আইন আছে। ভিডিয়ো ফুটেজ ও বিস্তারিত বাপীবাবুর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যাব।”
যদিও শুভেন্দুর দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের এসসি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, “আমরা কোনও জেলা সভাপতির বাড়ির সামনে ধরনামঞ্চ করিনি। রাস্তার ধারে করেছি। সেটা সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। মানুষকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকায় বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বাপী গোস্বামীর বাড়ির সামনে কোনও ধরনামঞ্চ হয়নি। আইন আদালতের নির্দেশ মেনেই সবটা করেছি। আদালত অবমাননার প্রশ্নই নেই।”