টিকা নিয়ে চলছে স্বজনপোষণ! প্রতিষেধক না পেয়ে ধরনায় বসলেন ব্যবসায়ী

কেউ লাইন দিয়েও করোনার টিকা পাচ্ছেন না। আবার কেউ সহজেই প্রতিষেধক পেয়ে যাচ্ছেন। টিকাকরণ নিয়েও স্বজনপোষণের অভিযোগ করে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ধরনায় বসলেন এক ব্যবসায়ী।

টিকা নিয়ে চলছে স্বজনপোষণ! প্রতিষেধক না পেয়ে ধরনায় বসলেন ব্যবসায়ী
টিকার দাবিতে ধরনায় ব্যবসায়ী
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 12:31 AM

ধূপগুড়ি: কেউ লাইন দিয়েও করোনার টিকা পাচ্ছেন না। আবার কেউ সহজেই প্রতিষেধক পেয়ে যাচ্ছেন। টিকাকরণ নিয়েও স্বজনপোষণের অভিযোগ করে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ধরনায় বসলেন এক ব্যবসায়ী।

সোমবার দুপুরে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত হুলুস্থুল শুরু হয়। টিকাকরণেও চলছে স্বজনপোষণ। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে ধরনায় বসেন কৌশিক দাস নামে এক ব্যবসায়ী। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, গত ২৭ মে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, টোটো চালক পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণ শিবির হয় ডাউকিমারি হাই স্কুলে। সেই শিবিরে এলাকার মোট ৩০৭ টিকা দেওয়া হয়। অভিযোগ, এই ৩০৭ জনের মধ্যে স্বজনপোষণ হয়েছে। এমনকি এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাঁরা ব্যবসায়ী নন।

এই নিয়ে সোমবার ব্যবসায়ী সমিতির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পাশাপাশি যে ৩০৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকার নাম জানতে চাইলে পঞ্চায়েত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তালিকা দেখাতে প্রথমে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ।

এরপরই কৌশিক দত্ত নামে ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। এর পর চাপের মুখে পড়ে সেই ৩০৭ জনের নামের তালিকা দেখতে বাধ্য হয় পঞ্চায়েত।

যদিও টিকা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা স্বজনপোষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান মমতা রায়। এবিষয়ে তাঁকে ফোন করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ যে কেউ কারও বিরুদ্ধে করতেই পারে। টিকাকরণের তালিকা স্বচ্ছ ভাবেই তৈরি করা হয়েছে। আমরা সবাইকে খবর দিয়েছিলাম। ওই ব্যবসায়ী আগে যোগাযোগ করেননি। এদিন হঠাৎ অফিসের সামনে এসে ধরনায় বসে পড়লেন। এরপর তাঁর অভিযোগ জমা নিয়ে রিসিভ কপি দিতে তিনি চলে যান।

আরও পড়ুন: ‘এমন আমি ঘর বেঁধেছি…’ করোনা এড়াতে গাছে নিভৃতবাস সাধুর!

এ বিষয়ে ধূপগুড়ির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শঙ্খদীপ দাসকে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।