Covid Test: রিপোর্ট পজিটিভ এলেই ফোন বন্ধ! করা যাচ্ছে না স্যানিটাইজেশন, বেজায় চাপে পুরসভা
Covid-19: রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজারে কোভিড টেস্ট ক্যাম্প হয়েছিল। সেখানে ৫০ জনের র্যাট টেস্ট করা হয়। বিকেলে তার রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুরপ্রশাসনের।
জলপাইগুড়ি: করোনা সংক্রমিতদের নিয়ে বেজায় সমস্যা পড়েছে পুরসভা। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই মোবাইলের সুইচ অফ করে রেখেছেন। কেউ আবার ভুল নম্বর দিয়েছেন। এর ফলে তাঁদের বাড়ির সঠিক ঠিকানা না জানতে পেরে সেই বাড়িগুলি স্যানিটাইজ করতে পারছে না পুরসভার দল।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ক্রমশ বাড়ছে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ি শহরে করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, কতজন শহরে করোনা আক্রান্ত, করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা আসছেন তাঁরা কোনওভাবে সংক্রমিত হয়েছেন কি না তা জানতে গত দু’ সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হচ্ছিল। প্রথমদিকে একেকটি শিবিরে গড়ে ৫০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে তাতে মাঝে মধ্যে দু’ একটা পজিটিভ রিপোর্ট আসছিল। কিন্তু দু’ সপ্তাহে সেই ছবিতে বদল আসতে শুরু করে।
একই নিয়ম মেনে রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজারে কোভিড টেস্ট ক্যাম্প হয়েছিল। সেখানে ৫০ জনের র্যাট টেস্ট করা হয়। বিকেলে তার রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুরপ্রশাসনের। দেখা গিয়েছে, ৫০ জনের মধ্যে ১০ জন পজিটিভ। অর্থাৎ ২০% পজিটিভিটি রেট। এর পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে আরটিপিসিআর রিপোর্ট এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে শহরের ৩৪ জন মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুরপ্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন সন্দীপ মাহাতো বলেন, “এইভাবে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় আমরা খুব চিন্তার মধ্যে আছি। কারণ, দু’ বছর পরেও এক শ্রেণীর মানুষ এখনও করোনা বিধি নিয়ে সচেতন নন। এই ধরনের মানুষই শহরের বিপদ বাড়াচ্ছেন। তাঁরা মুখে মাস্ক না পরে বাজারে এসে হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন, না হলে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাজারে এসে করোনা ছড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা বাজারগুলিকে কীভাবে পরিচালনা করব তা নিয়ে সোমবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসব।”
সন্দীপ মাহাতো জানান, “গত পাঁচ ছ’দিন ধরে আরও একটা জিনিস লক্ষ্য করছি যাঁদেরই কোভিড পজিটিভ আসছে, তাঁরা ফোনের সুইচটা বন্ধ করে রাখছে। ফলে ঠিকানাটা আমরা পাচ্ছি না আক্রান্তদের। যোগাযোগ করতে পারছি না। এলাকা কনটেনমেন্ট করার ক্ষেত্রে এটা যেমন একটা সমস্যা। একইভাবে আমরা এলাকাটা স্যানিটাইজও করতে পারছি না।”
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় কমল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ, নমুনা পরীক্ষাও সংখ্যায় কম