Dhupguri News: দু’বছর পর এবার ফের ‘উত্সবে’ মাতবে ধূপগুড়ির মানুষ, রয়েছে বিপদের হাতছানিও!
Dhupguri News: কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ফের ঊর্ধ্বমুখী। দৈনিক সংক্রমণের হারও বাড়ছে। এই পরিস্থিতি এত বড় এক মেলার আয়োজন হলে, নিশ্চিতভাবেই প্রচুর মানুষের সমাগম হবে।
জলপাইগুড়ি: করোনার অতি মারির কারণে পরপর দু’বছর বন্ধ ছিল ধূপগুড়ি উৎসব। এবার ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী উৎসব “ধূপগুড়ি উৎসব” করার প্রস্তুতি শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই উৎসব ও বই মেলা।
তৃতীয়বর্ষ ধূপগুড়ি উৎসব ও গ্রন্থমেলার সোমবার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় ধূপগুড়ি পৌরসভার সভা কক্ষে। গত বছর করোনার প্রকোপে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু এবার এবছর ধূপগুড়ি পৌরসভা ও ধূপগুড়ি উৎসব কমিটির উদোগে ধূপগুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
এদিন সভা শুরুর আগে করোনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করে মিটিং শুরু হয়। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার চেয়ারপারসন ভারতী বর্মন, ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং, থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা, জেলা পরিষদের সদস্য মমতা বৈদ্য সরকার, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহুয়া গোপ, পৌরসভার কাউন্সিল ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এদিনের সভার সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মন। এদিনের সভাতে অনুষ্ঠানের সূচী ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়। এবার অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি। এবারের উৎসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ধূপগুড়ি পৌরফুটবল ময়দান ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দানে। উৎসবে থাকছে বিভিন্ন গ্রন্থের স্টল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পের স্টল, দেশ বিদেশের নামী দামী বিভিন্ন স্টল, বিভিন্ন খাবারের দোকান। থাকছে প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, “করোনার অতি মারির কারণে দু’বছর উৎসব করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার ধূপগুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে সেই প্রস্তুতি সভা করা হল। আগামী ১৪ তারিখ থেকে ২৩ শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে ধূপগুড়ি উৎসব।”
কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ফের ঊর্ধ্বমুখী। দৈনিক সংক্রমণের হারও বাড়ছে। এই পরিস্থিতি এত বড় এক মেলার আয়োজন হলে, নিশ্চিতভাবেই প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। সামাজিক দূরত্ববিধি তো দূরস্থ, কোভিড কোনও বিধিই মানা হবে না, অন্তত তেমনটাই মনে করছেন সচেতকরা। সেক্ষেত্রে নতুন করে এলাকায় করোনার সংক্রমণ বাড়বে না তো! প্রশ্ন থাকছে। কারণ মেলাতে অন্তত মানুষ মজা করতেই যাবেন। যেমনটা উত্সবের দিনগুলোতে হয়। তাই কোভিড বিধি যাতে যথাযথ মানা হয়, সেদিকেও নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। না হলে বাড়বে বিপদ!
আরও পড়ুন: মুখ ফেরাচ্ছে পড়শিরাও, কংগ্রেসই বেশি পছন্দ হেমন্ত সোরেনের; আরও একা হচ্ছেন মমতা?