Dooars Tourism: ডুয়ার্সের রোমাঞ্চকর রাতের ঠিকানা এখন গোবাদি পশুর বিচরণ ক্ষেত্র!

Jalpaiguri: আর সেই সমস্ত সরকারি রিসর্ট, বাংলোগুলির মধ্যে বেশ কিছু বাংলো এবং কটেজ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। রীতিমতো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

Dooars Tourism: ডুয়ার্সের রোমাঞ্চকর রাতের ঠিকানা এখন গোবাদি পশুর বিচরণ ক্ষেত্র!
পরিচর্যার অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে বাংলো (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 2:35 PM

রনি চৌধুরী

সামনেই পুজো। আর পুজোর ছুটিতে অনেকেরই ডেস্টিনেশন ডুয়ার্স। সেখানকার পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘুরতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক আসেন। বিশেষত, পুজোর সময় ও গরমের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় একটু বেশিই হয়। মূলত জঙ্গল লাগোয়া রিসর্ট ও বনদফতরের বাংলোগুলো রাত্রিযাপনের জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটকদের। আর সেই সমস্ত সরকারি রিসর্ট, বাংলোগুলির মধ্যে বেশ কিছু বাংলো এবং কটেজ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। রীতিমতো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

তেমনই বেহাল দশা গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির অধীনে থাকা বনদফরের কালিপুর ও রামশাই বনবাংলো। বর্তমানে অবহেলায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটি। আজ থেকে যেখানে বছর দুয়েক আগেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যেত সেই বনবাংলোতে, বর্তমানে সেই জায়গাগুলি গবাদিপশুর বিচরণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

জঙ্গলে ঢেকেছে কটেজ

বনদফরের অধীনে থাকা কালিপুর এবং রামসাই এই দুই জায়গায় যে কটেজগুলি রয়েছে সেখানে গিয়ে দেখা গেল নেই কোনও পাহারা। নেই নজরদারি। এমনকী কটেজগুলোর জানালা-দরজা সব ভেঙে গিয়েছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য যে আদিবাসী নৃত্য দেখানো হতো, সেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঢাক ঢোল পরে পরে নষ্ট হচ্ছে পরিত্যক্ত গোডাউনে।

কেন এমন অবস্থা?

করোনার কারণে পর্যটন ব্যবসায় ভাটা পড়েছিলো ডুয়ার্সে। করোনার কারণে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। আর সেই সময় থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য কালিপুর এবং রামশাই কটেজগুলি। ঠিকমতো রক্ষণা-বেক্ষণ না করার কারণে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কালিপুর ও রামশাই এলাকার কটেজ ।

এইখানেই এক সময় আদিবাসী নৃত্য হত

বেহাল অবস্থা কালিপুর বনবাংলোর চারটি কটেজের।জানালা দরজা সিরাপ কিচেন রুম পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঠিকভাবে নজরদারি এবং রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় এর আগে হাতিতে এসে এখানকার কিচেনরুম ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কটেজের কেয়ারটেকারের মতে, যেহেতু কটেজ গুলোর বেড়া বাঁশের। তাই বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে কটেজের বেড়াগুলো ঠিক আছে। কিন্তু বেড়াগুলো কোনও মতে আটকে রয়েছে। যে কোনও মূহুর্তেই পড়ে যাবে। রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে না করার ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। একবার বনদফর এর তরফ এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল খোলার জন্য। কিন্তু আর খোলেনি।

তবে পুজোর আগে যাতে নতুন রূপে এই সরকারি কটেজগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন রাজেশ লাকরা।

পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে কটেজ

করোনা ও লকডাউনের কারণে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। আর করোনা ও লকডাউনের পর থেকেই বনদফতরের কালিপুর ও রামসাই পর্যটক আবাস বন্ধ হয়ে রয়েছে। যে কারণে ময়নাগুড়ির কালিপুর ও রামশাইয়ে এখন আর পর্যটকদের দেখা মেলে না। স্থানীয় বাসিন্দারা সহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই চান বনদফতর দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করুক কালিপুর ও রামশাই কটেজ খোলার ব্যাপারে। তাহলে একদিকে যেমন পর্যটকদের আবার দেখা মিলবে এবং তারা জঙ্গল লাগোয়া কটেজে থাকার সুযোগ পাবেন তাঁরা সেই সঙ্গে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

জলপাইগুড়ির অনারারি ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন রাজেশ লাকরা বলেন, ‘কালিপুর এবং রামসাই এলাকার বন দফতরের কটেজ গুলির বেহাল অবস্থার কথা শুনেছি। সেই সমস্ত কটেজগুলি পরিদর্শন করব এবং জেলা বন আধিকারিক এবং বনমন্ত্রীকে গোটা রিপোর্ট দেব। যাতে দ্রুত পুজোর আগেই এই সরকারি কটেজগুলো খুলে দেওয়া যায় পর্যটকদের জন্য। সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ করব।’