Jalpaiguri: কী অবস্থা! সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া শিশুর খাবারে পড়ে কেঁচো, তোলপাড় জলপাইগুড়ি
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ, শনিবার রাত্রিবেলা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে রাত্রিবেলার খাবার দেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ি: কী অবস্থা! সরকারি হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা শিশু খাদ্যে মিলল মরা কেঁচো। গোটা ঘটনায় তোলপাড় হাসপাতাল।
জলপাইগুড়ি হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ, শনিবার রাত্রিবেলা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে রাত্রিবেলার খাবার দেওয়া হয়। সেই খাবারেই মিলল মরা কেঁচো। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা দীপক রায়। গত বৃহস্পতিবার তাঁর ছেলের জ্বর আসায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর শনিবার রাত্রিবেলা তাঁরা নিজের সন্তানকে রাতের খাবার খাওয়াতে যান।তখনই চক্ষু চড়কগাছ সকলের।খাবারের মধ্যে মরা কেঁচো! মুহূর্তে হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ে খবর। এই ঘটনা সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে থাকা রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশ।
এই ঘটনায় দীপক রায় বলেন, ‘আমি আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। ওর জ্বর এসেছিল সেই কারণেই ভর্তি করতে হয়েছিল। এরপর রাত্রিবেলা হাসপাতাল থেকে খাবার দিতে আসে। সেই খাবার ছেলেকে খাওয়ানোর সময় দেখি খাবারের মধ্যে কেঁচো। তখন সঙ্গে-সঙ্গে আমি ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সদস্যদের জানাই। কিন্তু তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। আমি চাই এর সঠিক তদন্ত হোক।’ যদিও এই বিষয়ে দীপকবাবু কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।’
বস্তুত, সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে এর আগে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ বঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেই অন্ধকার নেমে আসে গোটা হাসপাতাল জুড়ে। জানা যায়, খড়গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা মিললেও গত সাড়ে তিন বছর সেই ঠিকাদার সংস্থার বিল বকেয়া প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এর জেরে বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয় রোগীদের। এমনকী বিদ্যুৎহীন ওয়ার্ডে গরমে রোগীরা থাকতে না পেরে ওয়ার্ডের বাইরেও বেরিয়ে চলে আসেন তাঁরা। এরপর TV9 বাংলা প্রথম সেই খবর দেখায়। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।তড়িঘড়ি চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করেন ঘাটাল মহকুমাশাসক।