Elephant Death: সব শেষ! মরে গিয়ে হাতির ছানা দেখিয়ে দিল ‘জঙ্গলের কোথায় দুর্নীতি’?
Elephant Death: বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের অধীনে থাকা গজল ডোবা ক্যানেল রোডের এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাচ্ছিল ছানাটি। ওই সময় বেপরোয়া ভাবে চলা একটি বালি বোঝাই ডাম্পার পিষে দেয় হাতির ছানাটিকে। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও বনদফতরের হাতে এসেছে।
জলপাইগুড়ি: শেষ রক্ষা হল না। হাজারও চেষ্টা করেও এক রত্তির প্রাণ বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকরা। ডাম্পারের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে গজলডোবা ক্যানেল রোডের ধারে পড়েছিল হস্তিশাবকটি। পেটের থেকে অন্ত্র বেরিয়ে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় বেঙ্গল সাফারি পার্কে চিকিৎসাধীন ছিল হস্তিশাবকটি। শুক্রবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আর এই ঘটনা আরও একবার এক গুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিল। বালি বোঝাই ডাম্পারের চাকা রুদ্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। বেপরোয়া গতিতে ওই রাস্তায় আগেও প্রাণ গিয়েছে একাধিক মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, এখন বাদ যাচ্ছেন না পশুরাও। এই ঘটনায় শুক্রবার ভোরের আলো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বনদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের অধীনে থাকা গজল ডোবা ক্যানেল রোডের এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাচ্ছিল ছানাটি। ওই সময় বেপরোয়া ভাবে চলা একটি বালি বোঝাই ডাম্পার পিষে দেয় হাতির ছানাটিকে। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও বনদফতরের হাতে এসেছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক সেই দৃশ্য। ডাম্পার দ্রুত গতিতে রাস্তার একেবারে বাঁ দিক ঘেঁষে যাচ্ছিল। পাশেই জঙ্গল। জঙ্গলের ভিতর থেকে সবেমাত্র বেরিয়েছিল হস্তিশাবকটি। তখনই পিষে দেয় ডাম্পারটি। বুঝতে পেরে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ায়। তারপর আবার ব্যাক গিয়ারে পিছিয়ে এসে পাশ কাটিয়ে চলে যায় ডাম্পারটি। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে হস্তিশাবকটি।
এরপর তাকে উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শিলিগুড়িতে CCF এর দফতরে স্মারকলিপি দেন পরিবেশ কর্মীরা। ঘটনায় ADFO মঞ্জুলা তিরকি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা হাতির ছানা টিকে বাঁচাবার জন্য যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সতর্কবার্তার পরও কীভাবে বালি চুরি হচ্ছে, সেই বালি রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা ধরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এত দ্রুত গতিতে চলছে ডাম্পার?