চাবাগানে হাতির তাণ্ডব, বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় জঙ্গলে ফেরত পাঠালো বন দফতর
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাচ্ছিল। সে সময়ই চাবাগানে ঢুকে পড়ে হাতিটি।
বানারহাট: ফের উত্তরবঙ্গের চাবাগানে হাতির তাণ্ডব। সকালে কাজে আসার সময় চাবাগানের শ্রমিকরা দেখেন একটি দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চাবাগানে। তখন তাঁরা খবর দেন বন দফতরকে। এর পর বন দফতরের আধিকারিকরা এসে চাবাগান থেকে বের করে জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বন দফতরের তরফে। এই হাতির তাণ্ডবের জেরে বেশ কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ ছিল বাগানে। শনিবার জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি চা বাগানে ঘটেছে এই ঘটনা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাচ্ছিল। সে সময়ই চাবাগানে ঢুকে পড়ে হাতিটি। সেখানেই তারভর রাচে তাণ্ডব চালায় ওই দলছুট হাতি। সকালে সেই দলছুট হাতিকে তাড়াতে গিয়ে বারবার হাতির আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বনদফতরের কর্মীদের। হাতি তাড়াতে ব্যবহৃত বনদফতরের ছোড়া বাজি পটকা ও সাইরেনের আওয়াজ পেয়ে হাতি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে বনদফতরের গাড়িকে আক্রমণ করতে আসে। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পর দুপুর ১২টা নাগাদ হাতিটিকে চা বাগান থেকে তাড়িয়ে জঙ্গলের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি চা বাগানে। চা বাগানে সকাল থেকে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হওয়ায় বাগানের ট্রাক্টর দিয়ে হাতিটিকে কয়েকটি সেকশনে আটকে রাখে এরপর বনদফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে বাগান ছাড়া করলে আতঙ্ক কমে বাগানের কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে।
ঘটনা নিয়ে বিন্নাগুড়ি বন্য প্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেছেন, “হাতিটি রেতির জঙ্গল থেকে সম্ভবত বেরিয়েছিল খাবারের খোঁজে। বিন্নাগুড়ি চা বাগান হয়ে ডায়না জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। ভোরের আলো ফুটে ওঠায় হাতিটি চাবাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। সকাল বাগানের শ্রমিকরা দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা গিয়ে হাতিটিকে ফের জঙ্গলে ফেরত পাঠিয়েছি।”