Fraud Case: ৩৩০০ টাকার বদলে চেয়েছিলেন মোবাইল ফোন, দিল্লি থেকে আসা পার্সেল খুলতেই চোখ কপালে চা-শ্রমিকের!
Jalpaiguri: কষ্টের টাকা দিয়ে সাধ ছিল একটি ভাল মোবাইল ফোন কেনার। সেই মোবাইল কিনতে গিয়েই বিপত্তি!
জলপাইগুড়ি: মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার। সেই রোজগারের টাকা এভাবে খুইয়ে ফেলবেন ভাবতেও পারেননি চা-বাগানের শ্রমিক বিজয় দেবনাথ। রাজগঞ্জ ব্লকের কুকুর যান গ্রামপঞ্চায়েতের মান্তা পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিজয় কোনওরকমে দিন গুজরান করেন। কষ্টের টাকা দিয়ে সাধ ছিল একটি ভাল মোবাইল ফোন কেনার। সেই মোবাইল কিনতে গিয়েই বিপত্তি! মোবাইলের অর্ডার তো দিলেন। তারপর?
বিজয়ের অভিযোগ, ৩৩০০ টাকায় একটি ভাল মানের অ্যান্ড্রয়েড ফোন পেতে পারেন তিনি, এমনটাই জানিয়ে দিল্লির একটি কোম্পানির তরফে ফোন করা হয়। কোন হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে, কতদিনের মধ্যে দেওয়া হবে, সব খবর ভাল করে জেনে বুঝে নিয়ে একটি হ্যান্ডসেটও অর্ডার করে দেন তিনি। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! বিজয়কে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর নামে ডেঙ্গুয়াঝাড় পোস্ট অফিসে একটি পার্সেল এসেছে। সেই পার্সেল নিতে গেলে তাঁকে ৩৩০০ টাকা দিতে হবে।
খবর পেয়েই, বাড়ি থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের পোস্ট অফিসে যান বিজয়। সেখানে গিয়ে টাকা দিয়ে পার্সেলটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তুু, বাড়িতে এসে পার্সেল খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়! পার্সেলের মধ্যে মোবাইলের বদলে রয়েছে একদলা মাটি। না আছে মোবাইল ফোন, উল্টে রয়েছে মোবাইলের খাপ আর কিছু বাজে কাগজ।
বিজয়ের কথায়, “আমায় পোস্ট অফিস থেকে বলা হয়, টাকা দিয়ে সই করে পার্সেল পাওয়া যাবে। আমি তাই করি। তখন কী করে জানব এমন হবে! পোস্ট অফিস থেকে বলল, এতে ওদের কিছু করার নেই। এত কষ্ট করে সংসার চালাই। আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল মোবাইল ফোন কিনব। কিন্তু সে যে এমন হবে তা জানব কী করে! সস্তায় মোবাইল পাচ্ছিলাম বলে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু এ তো উল্টো বিপদ হল!”
ঘটনায় পোস্ট মাস্টার ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “এটা প্রথম নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারগুলোতে আমাদের কিছু করার থাকে না। কারণ, এই পার্সেলের ট্রেস করে জালিয়াতদের ধরতে আমরা পারব না। তাই যিনি প্রতারিত হয়েছেন তিনি অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।”