Jalpaiguri: ‘৫ লক্ষ দিন, না হলে ছেলেকে ছাড়ব না’, ‘পুলিশের’ হুমকি ফোন পেয়েই থানায় বাবা

Jalpaiguri: ঘটনায় পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, “এখন সাধারণ ক্রাইমের চেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইম হচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা লাগাতার সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আবারও বলছি কোনও অপরিচিত ব্যাক্তির হোয়াটসঅ্যাপ কল রিসিভ করবেন না।”

Jalpaiguri: ‘৫ লক্ষ দিন, না হলে ছেলেকে ছাড়ব না’, ‘পুলিশের’ হুমকি ফোন পেয়েই থানায় বাবা
প্রদীপ চন্দ ও তাঁর ছেলে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2024 | 10:00 PM

জলপাইগুড়ি: পুলিশ সেজে নতুন কায়দায় প্রতারণার ছক। পুলিশের ছবি লাগানো প্রোফাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল। সেখান থেকেই থেকেই টাকা হাতানোর চেষ্টা। কিন্তু, প্রতারকদের ফন্দির বিষয়ে আগে থেকেই সজাগ থাকায় রক্ষা পেলেন জলপাইগুড়ি আদর পাড়া এলাকায় বাসিন্দা পেশায় ব্যাবসায়ী প্রদীপ চন্দ। সাইবার থানায় গিয়ে জমা দিলেন যাবতীয় তথ্য। প্রদীপ চন্দ জানাচ্ছেন, বুধবার দুপুরে তার কাছে পুলিশ আধিকারিকের ছবি দেওয়া একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসে। তিনি কলটি রিসিভ করেন। অপর প্রান্ত থেকে হিন্দি ভাষী এক ব্যাক্তি নিজেকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে জানতে চান তাঁর ছেলের পড়াশোনার বিষয়ে। এরপর তাঁকে বলা হয় আপনার ছেলে একটি বাজে ঘটনায় জড়িত। তাঁকে আমরা গ্রেফতার করে থানায় এনেছি। আপনি দ্রুত আমাদের নম্বরে ৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিলে আপনার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। নইলে তাঁকে মারধর করা হবে। এ কথা বলার পরেই ফোনে মারধর করার আওয়াজ শোনানো হয়। কিন্তু, ফোনের ওপারে থাকা ওই ব্যক্তির কথা শুনে সন্দেহ হয় প্রদীপবাবুর। এরপর তিনি অন্য একটি মোবাইল ফোন থেকে পুরো ফোন কলটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এদিন সন্ধ্যায় তিনি জলপাইগুড়ি সাইবার থানার দারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রদীপ চন্দ বলেন, যখন কল আসে তখন আমার ছেলে বাড়িতেই ছিল। তবে এই জাতীয় কায়দায় প্রতারণা যে হচ্ছে সে বিষয়ে আমি জানতাম। তাই ফোন পেয়ে আমি প্রথমেই আমার ছেলেকে বলি কলটির ভিডিয়ো রেকর্ড করতে। প্রতারকদের বলি আমার ছেলে বেঙ্গালুরুতে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বলে ৫ লক্ষ টাকা দিন নইলে আপনার ছেলেকে টর্চার করা হবে। আমাকে গুগল পে নম্বর পাঠিয়ে দেয়। টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপর চলে দরদাম। ৫ লক্ষ টাকা থেকে শেষে ৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। এরপরই আমি কল কেটে দিই। আমাকে বারবার ফোন করতেই থাকে। পরে আমি থানার দ্বারস্থ হই। 

ঘটনায় পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, এখন সাধারণ ক্রাইমের চেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইম হচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা লাগাতার সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আবারও বলছি কোনও অপরিচিত ব্যাক্তির হোয়াটসঅ্যাপ কল রিসিভ করবেন না। কোনও লিংক বা ওটিপি কাউকে শেয়ার করবেন না। কোনও সমস্যায় পড়লে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পুলিশ আপনাকে সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।