MGNREGA Dues: ‘তোমার অ্য়াকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তুলে দিয়ে যাবে’, ১০০ দিনের কাজের টাকাতেও শাসকের ‘কাটমানি’?
MGNREGA: বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলার পর অবশেষে রাজ্য সরকার নিজেই একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে একশো দিনের কাজের টাকা। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ উঠছে কাটমানি চাওয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা সাঁকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
গয়েরকাটা: সামনে লোকসভা নির্বাচন। বাকি হাতে গোটা কয়েকটা দিন। কিন্তু বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক দলের। বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলার পর অবশেষে রাজ্য সরকার নিজেই একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে একশো দিনের কাজের টাকা। কিন্তু সেখানেও অভিযোগ উঠছে কাটমানি চাওয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা সাঁকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মনোলতা রায় ও তাঁর শাশুড়ি জটিলা রায়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের থেকে নাকি একশো দিনের কাজের টাকার কাটমানি চাওয়া হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে ফের বিতর্কে রাজ্যের শাসক দল। সদ্য রাজ্য সরকারের তরফে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢোকানো হয়েছে শ্রমিকদের একাউন্টে। সেই টাকা ঢুকতেই এবারে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মনোলতা রায় ও তার শাশুড়ি জটিলা রায়ের বিরুদ্ধে। তপন মোহান্তির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের শাশুড়ি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘তোমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, টাকাটা তুলে দিয়ে যাবে। দিতে হবে।’ এমনকী প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী প্রদীপ রায়ও তাঁদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। শুধু তপন মোহান্তির পরিবারকেই নয়, এলাকার আরও বেশ কয়েকজনের এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই ব্যক্তির।
যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মনোলতা রায়। তাঁর দাবি, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বলছেন, ‘ওরা বিরোধী রাজনীতি করে। ভোট আসলে প্রত্যেকবার ওরা এরকম অভিযোগ করে। ভোট আসছে বলেই ওরা কুৎসা রটাচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি, আইনের দ্বারস্থও হয়েছি।’ একই কথা পঞ্চায়েত সদস্যের শাশুড়ি জটিলা রায়ের মুখেও। তাঁরও বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণেই এই ধরনের অভিযোগ তুলছে ওই পরিবার।
এদিকে ভোটের মুখে এমন একটি হাতেগরম ইস্যু পুরোদমে ব্যবহার করতে মরিয়া বিজেপি শিবির। একশো দিনের কাজের টাকার ভাগ চাওয়ার অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপির বক্তব্য, ‘তৃণমূল সবকিছু থেকেই কাটমানি খায়। এটাই তৃণমূলের চরিত্র।’ ডুয়ার্সের গয়ারকাটার ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই দাবি বিজেপির। গয়রাকাটার এই অভিযোগ ঘিরে ভোটের মুখে কি কিছুটা অস্বস্তি বাড়ল শাসক শিবিরের? যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব বলছে, যদি তৃণমূলের কোনও প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য যুক্ত থাকেন, তাহলে অবশ্যই দলীয় স্তরে তদন্ত হবে। যদি তিনি যুক্ত থাকেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।