Trinamool Congress: তৃণমূলের উপপ্রধানের হাতে ঘেরাও তৃণমূলেরই প্রধান, জলপাইগুড়িতে হচ্ছেটা কী!
Trinamool Congress: যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল। তাঁর সাফ বক্তব্য, যা কাজকর্ম হচ্ছে তা আইন মেনেই হচ্ছে। উল্টে তিনি বলেন, বর্তমান উপপ্রধানের বাবা যা অ্যাকশন প্ল্যান করে গিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের উপপ্রধানের হাতে ঘেরাও তৃণমূলের প্রধান। লোকসভা ভোটের মুখে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের অন্দরে। লোকসভা ভোটের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করল তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠী। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে আসন কিনেছেন বর্তমান প্রধান। আদিবাসীদের বঞ্চিত করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে চা বাগানের বাসিন্দাদের নিয়ে জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাজেশ মণ্ডলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলেরই উপপ্রধান টিগা রাউতিয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাজির ছিলেন জলপাইগুড়ির পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ।
উপপ্রধান টিগা রাউতিয়া বলছেন, “আমি যেহেতু আদিবাসী তাই আমাকে প্রধান অবজ্ঞা করে। আমাকে আড়াল করে কাজকর্ম করে। আমাকে কোনও মিটিংয়ে ডাকে না। আমার এলাকায় পানীয় জল নেই, রাস্তা ভাঙা, কিছুই কাজকর্ম হচ্ছে না। আমাকে গ্রামের মানুষ বারবার চেপে ধরছে। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই আজ গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রধানকে ঘেরাও করা হয়েছে।”
প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃনমূল চা শ্রমিক নেতা মহেশ রাউতিয়া বলেন, “বর্তমান প্রধান টাকার বিনিময়ে এই আসন কিনে রাজত্ব চালাচ্ছে। বিনা টেন্ডারে কাটমানি নিয়ে কাজ করাচ্ছেন। আমাদের উপপ্রধান এইসবের বিরোধিতা করায় তাঁকে অন্ধকারে রেখে অফিস চালাচ্ছেন। আমরা আজ ডেপুটেশন দিলাম। দলকে সব জানানো হবে।”
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল। তাঁর সাফ বক্তব্য, যা কাজকর্ম হচ্ছে তা আইন মেনেই হচ্ছে। উল্টে তিনি বলেন, বর্তমান উপপ্রধানের বাবা যা অ্যাকশন প্ল্যান করে গিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আমরা সবাই তৃণমূল। একসঙ্গে মিটিংয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু ভোটের মুখে ফেসবুকে প্রচার করে তারপর আন্দোলন হচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ আছে খতিয়ে দেখতে হবে।