৪ সেন্টিমিটারের হিজাবের পিন সোজা ঢুকল স্নেহার শ্বাসনালীতে, দু’দিন ধরে চলল লড়াই
Medical College: চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন যে সেই পিনটি নাবালিকার খাদ্যনালীতে ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখা যায়, পরে নানান পরীক্ষা করেও খাদ্যনালীতে কিছু পাওয়া যায়নি।
জলপাইগুড়ি: বিরল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল রোগীর। নাবালিকার শ্বাসনালীতে যেভাবে একটি পিন ঢুকে গিয়েছিল, তাতে রীতিমতো আশঙ্কায় ছিলেন তার অভিভাবকেরা। নাম, স্নেহা আফরোজ। খাওয়ার সময়ে হাতে থাকা হিজাবের পিন খেয়ে ফেলেছিল জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। গত ২ ডিসেম্বরের ঘটনা। পিন ওই ভাবে শরীরে ঢুকে যাওয়ার পর তাঁকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানকার চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন যে সেই পিনটি নাবালিকার খাদ্যনালীতে ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখা যায়, পরে নানান পরীক্ষা করেও খাদ্যনালীতে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শ্বাসনালীতে আটকে গিয়েছে পিনটি। এরপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে পাঠানো হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর স্নেহাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা (ENT) বিভাগের চিকিৎসকেরা ভর্তি করে নিয়ে একাধিক পরীক্ষা করেন। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধন্ত নেন তাঁরা। প্রায় আধ ঘন্টার অস্ত্রোপচারের পর ভিতরে আটকে থাকা প্রায় চার ইঞ্চির পিনটি অবশেষে বের করা হয়। বর্তমানে ওই নাবালিকাকে সিসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে অস্ত্রোপচার করার পর আপাতত সঙ্কট কেটেছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, “ওই নাবালিকা সঙ্কটজনক অবস্থায় আমাদের কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছিল। আমাদের বিভাগের চিকিৎসকেরা সমস্ত বিষয়টি দেখে নিয়ে অস্ত্রোপচার করেন। এখন সে সুস্থ রয়েছে। আশা করছি দ্রুত ছুটি দিতে পারব রোগীকে।” চিকিৎসকদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্নেহার পরিবারের সদস্যরা।